এই পৃথিবীতে সকল ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে স্বরন করে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে। বিভিন্ন ধর্ম অনুসারীরা সৃষ্টিকর্তাকে বিভিন্ন নামে ডাকে।
সারা বিশ্বের ইসলাম ধর্ম অনুসারী সকল মুসলমান কালাম-এ-পাক আল-কোরআনের ভাষা আরবীতে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে 'আল্লাহ' / 'আল্লাহ তা'য়ালা'। মুসলমানরা সৃষ্টিকর্তাকে 'খোদা' , 'মা'বূদ' , 'পারভারদিগার' ইত্যাদি নামেও ডাকে।
খ্রিষ্টানিটি অনুসারী খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় ভাষা অ্যারামায়িক ভাষায় সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা হয় 'ইলাহ' । 'আলাহা' নামেও সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা হয় অ্যারামায়িক ভাষায়। সৃষ্টিকর্তাকে 'ঈশ্বর' নামে ডাকে ভারতীয় উপমহাদেশের খ্রিষ্টানরা । আরবীয় খ্রিষ্টানেরা 'আল্লাহ' নামে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে। পশ্চিমা বিশ্বের খ্রিষ্টানেরা সৃষ্টিকর্তাকে ইংরেজী ভাষায় ডাকে 'গড'।
জুডাইজম অনুসারী ইহুদীদের ধর্মীয় ভাষা হচ্ছে হিব্রু। হিব্রুতে সৃষ্টিকর্তাকে অনেক নামে ডাকা হয়। 'ইলোহিম' , 'ইলোয়াহ', 'ইয়াহওয়েহ' ইত্যাদি নামে ডাকে।
হিন্দু ধর্মের মূল ভাষা সংস্কৃত। বেশির ভাগ হিন্দু সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে 'ভগবান'। ' ব্রহ্ম' , 'ঈশ্বর' , 'পরমেশ্বর' নামেও ডাকে সৃষ্টিকর্তাকে হিন্দুরা।
শিখ ধর্মে সৃষ্টিকর্তার নাম 'ওয়াহেগুরু'।এই নামেই শিখ ধর্মাবলম্বীরা সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে।
'এক ওনকার' , 'সৎনাম', 'নিরাঙ্কার' (নিরাকার), 'আকাল পুরাখ' ইত্যাদি নামেও সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা হয়।
'এক ওনকার' , 'সৎনাম', 'নিরাঙ্কার' (নিরাকার), 'আকাল পুরাখ' ইত্যাদি নামেও সৃষ্টিকর্তাকে ডাকা হয়।
সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন মাহমুদ রাব্বি (10-07-2011 12:19 PM)
This entry was posted on Saturday, August 13, 2011 at 1:17 AM and is filed under সৃষ্টিকর্তার নাম. You can follow any responses to this entry through the RSS 2.0 feed. You can leave a response.