Showing posts with label হাদিস. Show all posts
সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ) কথায় কথায় মিথ্যা বলা মুনাফেকী আমল। হাদীসে পাকে মিথ্যাকে মুনাফেকী আমল বলা হয়েছে। হাদীসে বলা হয়েছে- সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। হতে পারে মিথ্যার আশ্রয়ে সাময়িক লাভবান হয়, কিন্তু সূর্যের আলো যেমন গোপন থাকে না তেমনি শেষ পর্যন্ত মিথ্যাও গোপন থাকে না। একদিন না একদিন প্রকাশ পেয়েই যায়। তখন লোকের সম্মুখে পূর্বের তুলনায় আরো অধিক অপদস্থ হতে হয়। মানুষের কাছে তার কোন ইজ্জত-সম্মান থাকে না। সকলেই তাকে মিথ্যাবাদী মনে করে। আর আল্লাহপাক তো প্রথম থেকেই তার মিথ্যা সম্পর্কে অবহিত আছেন। সুতরাং এরূপ লোকের ইহকাল পরকাল উভয় কালই ধ্বংসমুখী।
মহানবী (সা.) বলেছেন “যে ব্যক্তি আমার উম্মতের উপকারার্থে ৪০টি হাদীস শুনাবে এবং হেফ্য করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কেয়ামতের দিন আলেম ও শহীদগণের সহিত উঠাবেন এবং বলবেন, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা বেহেশতে প্রবেশ কর।”
১. “তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সেই ব্যক্তি বেশী প্রিয় যে বেশী চরিত্রবান।” ( বোখারী)
২. “কোন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে যাই শোনে তাই যাচাই না করেই অন্যের কাছে বর্ণনা করে দেয়।” (মুসলিম)
৩. “হৃদয়রে প্রাচুর্যই প্রকৃত প্রাচুর্য।” (বোাখারী)
৪. “আল্লাহ তায়ালার নিকট সেই আমলই সব চাইতে প্রিয় যা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।” (বোখারী)
৫. “যখন তুমি লজ্জা করবে না, তখন যা ইচ্ছা তাই কর।” (অর্থাৎ যখন লজ্জা নাই, তখন সকল প্রকার মন্দই সমান) (বোখারী)
৬. “ঐ ব্যক্তি বীর নয় যে কুস্তিতে লোকজনকে পরাভূত করে বরং বীর ঐ ব্যক্তি যে ক্রোধের সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।” (বোখারী)
৭. “যে ব্যক্তি নম্র আচরণ হতে বন্ঞিত সে সকল প্রকার কল্যাণ হতে বন্ঞিত।” (মুসলিম)
৮. “ঐ ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ মুসলমান যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট হতে মুসলমানগন নিরাপদ থাকে।” (মুসলিম)
৯. “আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না।” (বোখারী)
১০. “যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশীগণ নিরাপদ নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।” (বোখারী)
২. “কোন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে যাই শোনে তাই যাচাই না করেই অন্যের কাছে বর্ণনা করে দেয়।” (মুসলিম)
৩. “হৃদয়রে প্রাচুর্যই প্রকৃত প্রাচুর্য।” (বোাখারী)
৪. “আল্লাহ তায়ালার নিকট সেই আমলই সব চাইতে প্রিয় যা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।” (বোখারী)
৫. “যখন তুমি লজ্জা করবে না, তখন যা ইচ্ছা তাই কর।” (অর্থাৎ যখন লজ্জা নাই, তখন সকল প্রকার মন্দই সমান) (বোখারী)
৬. “ঐ ব্যক্তি বীর নয় যে কুস্তিতে লোকজনকে পরাভূত করে বরং বীর ঐ ব্যক্তি যে ক্রোধের সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।” (বোখারী)
৭. “যে ব্যক্তি নম্র আচরণ হতে বন্ঞিত সে সকল প্রকার কল্যাণ হতে বন্ঞিত।” (মুসলিম)
৮. “ঐ ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ মুসলমান যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট হতে মুসলমানগন নিরাপদ থাকে।” (মুসলিম)
৯. “আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না।” (বোখারী)
১০. “যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশীগণ নিরাপদ নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।” (বোখারী)
১১. ~যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশীগণ নিরাপদ নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।"
(বোখারী)
১২. ~পারস্পরিক সম্পর্ক ছিন্ন করিও না, একে অন্যের ছিদ্রান্বেষণ করিও না, পরস্পরে ঈর্ষা পোষণ করিও না, একে অন্যকে হিংসা করিও না এবং হে আল্রাহর বান্দাগণ তোমরা সকলে ভাই ভাই হইয়া বাস কর।" (বোখারী)
১৩. ~কবরসমূহকে সিজদার জায়গা বানাইও না।" (মুসলিম)
১৪. ~ তোমরা শাসনকর্তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে এবং তাঁর অনুগত থাকবে_- অত্যন্ত ছোট মাথাবিশিষ্ট কৃষ্ঞবর্ণ হাবশী লোককেও যদি তোমাদের উপর শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয়।" (বোখারী)
(বোখারী)
১২. ~পারস্পরিক সম্পর্ক ছিন্ন করিও না, একে অন্যের ছিদ্রান্বেষণ করিও না, পরস্পরে ঈর্ষা পোষণ করিও না, একে অন্যকে হিংসা করিও না এবং হে আল্রাহর বান্দাগণ তোমরা সকলে ভাই ভাই হইয়া বাস কর।" (বোখারী)
১৩. ~কবরসমূহকে সিজদার জায়গা বানাইও না।" (মুসলিম)
১৪. ~ তোমরা শাসনকর্তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে এবং তাঁর অনুগত থাকবে_- অত্যন্ত ছোট মাথাবিশিষ্ট কৃষ্ঞবর্ণ হাবশী লোককেও যদি তোমাদের উপর শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয়।" (বোখারী)
১৫. খানসা বিনতে খেযাম (রা.) মদীনাবাসিনী নারী সাহাবী হতে বর্ণিত আছে, তিনি বিবাহিতা ছিলেন, পরবর্তী বিবাহকালে তাঁর পিতা তাঁকে বিবাহ দিয়া দেন, অথচ তিনি সেই বিবাহে মোটেই সম্মত ছিলেন না। তিনি হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিকট উপস্থিত হয়ে ঘটনা জ্ঞাত করিলেন। হযরত (সা.) সেই বিবাহ বাতিল করে দিলেন।
(বোখারী)
১৬. একবার বিবাহ হয়েছে এরুপ নারীকে (দ্বিতীয় বার) বিবাহ দানে তাহার স্পষ্ট অনুমতি গ্রহণ করতে হবে এবং কুমারীকে বিবাহ দানেও তাহার সম্মতি নিতে হবে।
(বোখারী)
১৭. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীকে দেখতে যাও এবং ক্রীতদাসকে মুক্ত কর।
(বোখারী)
১৮. ব্যাঙের ছাতা (মাশরুম) ‘মন্ন’ তুল্য; তার রস চোখের জন্য ভাল ঔষধ।
(বোখারী)
১৯. কোন কিছুকে অশুভ অমঙ্গল বা কুলক্ষণ গণ্য করিও না-ঐরুপ ধারণা অলীক ভিত্তিহীন।
(বোখারী)
২০. যে কোন মুসলমান কোন বৃক্ষ রোপণ করল, অত:পর উহা হতে কোন পশু বা মানুষ কিছু অংশ খেল, তাতে ঐ ব্যক্তি দান-খয়রাত করার সওয়াব লাভ করবে।
(বোখারী)
২১. যে ব্যক্তি অত্যাচার করে অর্ধহাত যমীন দখল করতে, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন অনুরুপ সাতটি যমীন তার কাঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হবে।
(বোখারী)
২২. বিচারক তিন প্রকার। এক শ্রেণীর বিচারক জান্নাতী, আর দুই শ্রেণীর বিচারক জাহন্নামী। (১) যে বিচারক সত্য উপলব্ধি করে এবং তদনুযায়ী বিচার করে সে জান্নাতী। (২) যে বিচারক সত্য উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু তদনুযায়ী বিচার করে না, সে জাহান্নামী। (৩) আর এক শ্রেণীর বিচারক সত্য উপলব্ধি করতে পারে না। অজ্ঞতার ভিত্তিতে বিচার করে সেও জাহান্নামী।
(আবু দাউদ)
২৩. নিশ্চয়ই সূদ এমন বস্তু যার পরিণাম হচ্ছে সংকুচিত হওয়া যদিও তা বৃদ্ধি মনে হয়।
(ইবনে মাজাহ)
২৪. আল্লাহ তায়ালা তিন শ্রেণীর লোকের সাথে ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না। (১) বয়সপ্রাপ্ত যেনাকার (২) মিথ্যুক শাসক (৩) অহংকারী দরিদ্র।
(মুসলিম)
(বোখারী)
১৬. একবার বিবাহ হয়েছে এরুপ নারীকে (দ্বিতীয় বার) বিবাহ দানে তাহার স্পষ্ট অনুমতি গ্রহণ করতে হবে এবং কুমারীকে বিবাহ দানেও তাহার সম্মতি নিতে হবে।
(বোখারী)
১৭. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীকে দেখতে যাও এবং ক্রীতদাসকে মুক্ত কর।
(বোখারী)
১৮. ব্যাঙের ছাতা (মাশরুম) ‘মন্ন’ তুল্য; তার রস চোখের জন্য ভাল ঔষধ।
(বোখারী)
১৯. কোন কিছুকে অশুভ অমঙ্গল বা কুলক্ষণ গণ্য করিও না-ঐরুপ ধারণা অলীক ভিত্তিহীন।
(বোখারী)
২০. যে কোন মুসলমান কোন বৃক্ষ রোপণ করল, অত:পর উহা হতে কোন পশু বা মানুষ কিছু অংশ খেল, তাতে ঐ ব্যক্তি দান-খয়রাত করার সওয়াব লাভ করবে।
(বোখারী)
২১. যে ব্যক্তি অত্যাচার করে অর্ধহাত যমীন দখল করতে, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন অনুরুপ সাতটি যমীন তার কাঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হবে।
(বোখারী)
২২. বিচারক তিন প্রকার। এক শ্রেণীর বিচারক জান্নাতী, আর দুই শ্রেণীর বিচারক জাহন্নামী। (১) যে বিচারক সত্য উপলব্ধি করে এবং তদনুযায়ী বিচার করে সে জান্নাতী। (২) যে বিচারক সত্য উপলব্ধি করতে পারে কিন্তু তদনুযায়ী বিচার করে না, সে জাহান্নামী। (৩) আর এক শ্রেণীর বিচারক সত্য উপলব্ধি করতে পারে না। অজ্ঞতার ভিত্তিতে বিচার করে সেও জাহান্নামী।
(আবু দাউদ)
২৩. নিশ্চয়ই সূদ এমন বস্তু যার পরিণাম হচ্ছে সংকুচিত হওয়া যদিও তা বৃদ্ধি মনে হয়।
(ইবনে মাজাহ)
২৪. আল্লাহ তায়ালা তিন শ্রেণীর লোকের সাথে ক্বিয়ামতের দিন কথা বলবেন না। (১) বয়সপ্রাপ্ত যেনাকার (২) মিথ্যুক শাসক (৩) অহংকারী দরিদ্র।
(মুসলিম)
☼ তোমরা জীবনের সকল স্বাদ বিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করো। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ আল্লাহর নিকট শহীদদের ছয়টি পুরস্কার রয়েছে ঃ-(১) রক্তের প্রথম ফোটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতে তাকে তার ঠিকানা দেখিয়ে দেওয়া হয় । (২) কবরের আজাব হতে মুক্তি দেওয়া হয় । (৩) ইস্রাফিলের সিঙ্গার ফুৎকারের সময়কার ভীতিকর অবস্থা হতে মুক্ত থাকবে। (৪) তার মাথায় মর্যাদার মুকুট পড়ানো হবে যার প্রতিটি ইয়াকুত দুনিয়া ও তার মধ্যকার যাবতীয় সমপদ হতে অধিকতর মূল্যবান । (৫) তাকে বাহাত্তর জন আয়তলোচনা হুর দেওয়া হবে। (৬) সত্তরজন আত্মীয়ের জন্যে তার সুপারিশ গ্রহন করা হবে। – আল হাদীস
☼ যদি কোনো ব্যক্তি এই উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করে যে তা দিয়ে জ্ঞানীদের সাথে মতবিরোধ করবে কিংবা বোকাদের সাথে বিতর্ক করবে কিংবা মানুষকে নিজের দিকে আকর্ষণ করবে , আল্লাহ তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন । (মিনহাজুল আবেদীন)
☼ যখন তোমার প্রতিবেশীকে বলতে শুনবে যে তুমি খারাপ কাজ করেছ , তখন প্রকৃতই তুমি খারাপ কাজ করেছ । আর যখন তুমি বলতে শুনবে যে তুমি ভাল কাজ করেছ, তখন তুমি প্রকৃতই ভাল কাজ করেছ । – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ঃ)
☼ আমি আদম সন্তানের সরদার , আমিই নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ নবী। (আল হাদীস)
☼ আমার অনুসারীগণ যখন ১৫টি কাজে লিপ্ত হবে , তখন তাদের উপর বিপদ-আপদ , রোগ-শোক আসতে থাকবে । ১। যুদ্ধলব্ধ সমদেকে যখন ব্যক্তিগত সম্পদ গন্য করা হবে। ২। আমানতকে যখন আত্মসাত করা হবে । ৩। যাকাত দেওয়াকে অপচয় মনে করা হবে। ৪। লোকেরা যখন স্ত্রীদের অনুগত এবং মায়ের অবাধ্য হবে। ৫। যখন বন্ধু-বান্ধবদের সহিত সদ্ব্যবহার করা হবে । ৬। পক্ষান-রে পিতার সাথে দুর্ব্যবহার করা হবে। ৭ । মসজিদে যখন চেচামেচি করা হবে। ৮। সমাজের নিকৃষ্ট লোকেরা যখন নেতত্বে করবে। ৯। যখন লোকেরা অত্যাচারের ভয়ে কাউকে সম্মান করবে। ১০। যখন প্রকাশ্যে মদ্যপান করা হবে। ১১। পুরুষেরা যখন রেশমী বস্ত্র পরিধান করবে। ১২। যখন গায়িকা-নর্তকীর ব্যবস্থা করা হবে । ১৩। যখন বাদ্যযন্ত্র সহজ লভ্য হবে । ১৪। যখন সাহাবীদের ও তাবেয়ীদের সমালোচনা করা হবে , তখন তোমরা আল্ল াহর শাস্তির অপেক্ষা করো । যেমন- ঘূর্ণিঝড় , ভূমিধ্বস , চেহারা বিকৃতি প্রভৃতি । – আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ সেই আল্লাহর কসম যার হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ- যে গনিমতের মাল থেকে একটি কম্বল তুলে নিয়েছে অথচ সেটা তাকে সরকারীভাবে বিতরণ করা হয়নি-তবে ঐ কম্বল তার দেহে আগুন হয়ে জ্বলবে। -আবু দাউদ
☼ তোমরা মুমূর্ষূ ব্যক্তির সন্নিকটে থাক এবং তাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ে শোনাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শোনাও । কেননা সেই সময় বিচক্ষণ নর-নারীরাও ভয় পেয়ে যায় আর শয়তান খুব সক্রিয় থাকে । সেই সত্ত্বার কসম, আজরাইলকে দেখা হাজার তরবারির আঘাত অপেক্ষাও বেশী কষ্টদায়ক । – আল হাদীস
☼ আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহতা’য়ালা প্রতিটি সৃষ্টির ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেছেন । তখন তাঁর আরশ ছিল পানির উপর । (মেশকাত)
☼ যে ব্যক্তি মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে এবং সৎকর্মের দ্বারা আখেরাতের পুঁজি তৈরী করে , সেই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী। – আল হাদীস
☼ আল্লাহ্ তা’য়ালা সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হলো আমার নুর । আমাকে অতীত ও ভবিষ্যতের সমস্ত জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে। (আল হাদীস)
☼ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ (কর্তব্য) । {বায়হাকী শরীফ ঃ}
☼ নিশ্চিতভাবেই ধর্মীয় জ্ঞান হচেছ ধর্মের ভিত্তিস্বরূপ। অতএব লক্ষ্য রেখো যে, কাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করছ । (মুসলিম , তিরমিযী)
☼ চোখের মাধ্যমেও ব্যভিচার হয় , পায়ের দ্বারাও ব্যভিচার হয় এবং লজ্জাস্থান দ্বারা ব্যভিচার পূর্ণতা লাভ করে। — আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমন যে , আমি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যে পযর্ন্ত না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নেই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর রাসুল এবং নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে। – আল হাদীস
☼ কর্ম যাকে পিছিয়ে দেয় বংশ তাকে এগিয়ে দিতে পারে না । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে সাত বছর বয়সেই নামাযের আদেশ কর, দশ বছর বয়সে নামাযের জন্য শাস্তি বিধান কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ প্রবীণ মুসলমান , সৎপন্থী জ্ঞানী ব্যক্তি এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন স্বয়ং আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন-র্ভুক্ত । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ)
☼ আগুন দ্বারা শাস্তি প্রদান করার অধিকার কেবল মাত্র আল্লাহর জন্যই নির্ধারিত । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ আপনজনদের সাথে উত্তম আচরণের পুরস্কার আল্লাহপাক যত দ্রুত দিয়ে থাকেন , অন্যকোন কর্মের পুরস্কার এত দ্রুত দেন না । পক্ষান্তরে আপনজনদের সাথে সমপর্কচেছদের শাস্তিও আল্লাহপাক যত দ্রুত দিয়ে থাকেন আর কোন পাপের শাস্তি এত দ্রুত দেন না । (আল হাদীস)
☼ তোমরা অপরিচিত নারীদের নিকট যাতায়াত করা থেকে বিরত থাক। জিজ্ঞাসা করা হলো – দেবর সম্পর্কে কি বিধান ? তিনি বললেন, দেবর হচেছ (নারীদেব জন্য ) মৃত্যুর সমতুল্য । (বোখরী)
☼ যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা প্রচার করবে যা আমি বলি নাই, তবে সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয় । (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ))
☼ আমার এই মসজিদে এক রাকাত নামায মসজিদুল হারাম ব্যতিত অন্যান্য মসজিদে এক হাজার রাকাত নামায অপেক্ষা উত্তম । -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ))
☼ সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ যে ব্যক্তি রমযান মাসের সাতাইশ তারিখের রজনীকে জীবিত রাখবে, তার আমলনামায় মহান আল্লাহ সাতাইশ হাজার বৎসর ইবাদতের সমতুল্য সওয়াব দান করবেন এবং জান্নাতে অগণিত মনোরম বালাখানা তৈরী করবেন যার সংখ্যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না । -(আল হাদিস)
☼ হে আলী ! তিনটি বিষয়ে কখনো বিলম্ব করবে না ঃ-(১) নামাযের যখন সময় হয়ে যাবে, (২) জানাযা যখন উপস্থিত হয়ে যাবে, (৩) কুমারী মেয়ের জন্য যখন সুপাত্র পাওয়া যাবে। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ কোনো ব্যক্তি রমযান মাসে যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তবে তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং সে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করবে। – আল হাদীস
☼ আমি নামায আদায় করি আবার ঘুমিয়েও থাকি, রোজা রাখি আবার ছেড়েও দিই এবং বিয়েও করি। যে ব্যক্তি আমার আদর্শকে বর্জন করবে সে আমার অনুসারী নয় । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ সাবধান ! তোমরা মেয়েদের মোহরানার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না । (কারণ) আমার জানা নেই যে , রাসুলুল্লাহ (দঃ) তাঁর কোন পত্নীকে বিয়ে করার সময় কিংবা তাঁর কোন কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার সময় বার ‘‘উকিয়া’’(পাঁচশত দিরহাম)-এর অধিক মোহরানা ধার্য করেছেন । (তিরমিযী , মুসনাদে আহমদ)
নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক আমার পরেই তোমাদেরকে শামের উপর বিজয় দান করবেন । উহার সীমানা হলো আরশী হতে ফোরাত পযর্ন্ত। সেখানকার নারী , পুরুষ এবং তাদের বংশধরগণ কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদে রত থাকবে। সুতরাং তোমাদের যে কেহ শামের অথবা বায়তুল মোকাদ্দাসের কোন অঞ্চলে বসবাস করবে, সে কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদে লিপ্ত থাকবে। – আল হাদীস
☼ তোমরা ইহুদীদের বিপরীত কাজ করতে সেহ্রী খাও । যেহেতু ইহুদীরা রোজা রাখে কিন্তু সেহ্রী খায় না । সুতরাং যে সেহ্রী খেয়ে রোজা রাখবে সে ইহুদীদের সংখ্যা অনুপাতে সওয়াব লাভ করবে। – আল হাদীস
☼ মিতব্যয় জীবিকার অর্ধেক, উত্তম প্রশ্ন শিক্ষার অর্ধেক এবং লোকজনকে ভালবাসা জ্ঞানের অর্ধেক। – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ঃ)
☼ একদা রাসুলুল্লাহ (দঃ) এক যুবকের নিকট উপস্থিত হলেন । সেই সময় ঐ যুবক মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল। তিনি যুবককে জিজ্ঞেস করলেন–‘‘তোমার অবস্থা কি ?’’ সে বলল–‘‘আল্লাহর নিকট থেকে ক্ষমার আশা করছি আবার পাপের কারণে ভয়ও পাইতেছি।’’ রাসুলে করীম (দঃ) বললেন–‘‘মৃত্যুর সময় যার মধ্যে এ দুটি জিনিস পাওয়া যায় আল্লাহ তার আশা পূরণ করবেন এবং তাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রাখবেন ।’’ – আল হাদীস☼ হে মুসলিম নারীগণ ! কোনো নারী যেন তার প্রতিবেশী নারীকে উপহার দেওয়াকে তুচছ মনে না করে, যদিও তা একটি বকরীর খুর হোক না কেন । (বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
☼ আমার উম্মতের মধ্যকার যারা ভাগ্যে বিশ্বাস করে না, তারা অগ্নিপূজক সমতুল্য। এদের কেউ অসুস্থ হলে তোমরা তাদের দেখতে যাবে না । এদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের জানাযায় যাবে না । – আল হাদীস
☼ নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে এমন একটি অংশ আছে যা পবিত্র থাকলে গোটা দেহটাই সুস্থ থাকে আর তা কলুষিত হলে গোটা দেহটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে । জেনে রেখো তার নাম হলো অন-করণ। – আল হাদীস
☼ যে রাতে আমাকে উর্ধ্ব ভ্রমণ করানো হলো সে রাতেই আমি জান্নাত পরিদর্শন করেছিলাম । জান্নাতে আমি চারটি নদী দেখেছিলাম যার একটি পানির , একটি দুধের , একটি পবিত্র শরাবের এবং একটি মধুর। – আল হাদীস
☼ আল্লাহর কসম, সেই ব্যক্তি ঈমানদার নয় । (এভাবে তিনবার বললেন) জিজ্ঞেস করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল (দঃ) , কে ঈমানদার নয় ? তিনি বললেন, সেই ব্যক্তি যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশীরাও রেহাই পায় না । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ আল্লাহ জ্ঞানকে মানুষের নিকট হইতে বলপূর্বক কেড়ে নিবেন না বরং জ্ঞানীদেরকে উঠিয়ে নিয়ে জ্ঞানকে উঠিয়ে নিবেন । যখন পৃথিবীতে কোন জ্ঞানী ব্যক্তি থাকবে না , তখন মানুষেরা মূর্খদেরকে নিজেদের নেতা নিযুক্ত করবে এবং তাদের নিকটই সব কিছু জানতে চাইবে । তারা অজ্ঞতার কারণে ভুল ফতোয়া দিয়ে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ)
☼ কেউ কোন সমপদের মালিক হলে বছরানেত তার উপর যাকাত ফরজ হবে । যাকাত ছাড়াও দেয় আছে । (তিরমিযী , মুসলিম)
☼ আমি যদি মানুষকে নির্দেশ দিতাম কাউকে সেজদা করার জন্য তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সেজদা করার জন্য । – আল হাদীস (তিরমিযী)
তোমরা শিশুদের ভালবাস এবং তাদের প্রতি মমতা প্রদর্শন কর। তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ কর। কেননা তারা তোমাদেরকে তাদের রিজিকদাতা মনে করে থাকে । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
তোমরা শিশুদের ভালবাস এবং তাদের প্রতি মমতা প্রদর্শন কর। তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ কর। কেননা তারা তোমাদেরকে তাদের রিজিকদাতা মনে করে থাকে । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ এক মজলিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , যে ব্যক্তির অনতরে সরিষার দানা পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন , “ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ! আমি পরিচছন্ন জামা-জুতো পরিধান করতে পছন্দ করি । এটাও কি অহঙ্কারের পর্যায়ে পড়ে ”? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , “ না । আল্লাহ সুন্দর , তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন এবং বান্দাদের যে নেয়ামত দান করেছেন , তার কিছূটা বহিঃপ্রকাশও তিনি দেখতে চান । সমপদ থাকা সত্ত্বেও হত-দরিদ্রের বেশ ধরে থাকাকে তিনি পছন্দ করেন না । প্রকৃতপক্ষে অহঙ্কার হলো অন্যকে তুচছ জ্ঞান করা । যে ব্যক্তি নিজ হাতে জুতা পরিস্কার করে , প্রয়োজনে নিজের পোষাকে তালি লাগায় এবং সময়মত আল্লাহকে সেজদা করে , (ধরে নেওয়া যায়) সে অহঙ্কার থেকে মুক্ত । (আল হাদীস)
☼ কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পযর্ন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পযর্ন্ত না সে চারটি বিষয়ের প্রতি ঈমান আনবে। যথা-(১) আল্লাহ ব্যতিত কোন উপাস্য নেই- বলে সাক্ষ্য দেওয়া এবং ঘোষণা করা। (২) আমি যে আল্লাহর রাসুল এবং তিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরন করেছেন । (৩) মৃত্যু এবং পুনঃরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। (৪) তকদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। – আল হাদীস
☼ সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো কোনো ব্যক্তির এমন বস্তু প্রদর্শন করা যা তার চক্ষুদ্বয় দর্শন করেনি। — আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ)
☼ যে ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান অন্বেষণে লিপ্ত থাকে , আল্লাহ স্বয়ং তার জীবিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন । (কানযুল উম্মাল)
☼ হে লোকেরা ! বাকশক্তিহীন প্রাণীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় কর। (আল হাদীস)
☼ তোমাদের কেহ পূর্ণ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন- না সে নিজের ভাইয়ের জন্য তাই পছদে করবে , যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ))
☼ যদি এমন কারো উপরে তোমাদের দৃষ্টি পড়ে যে সম্পদ এবং সৌন্দর্যের দিক থেকে তোমাদের চাইতে শ্রেষ্ট তাহলে সে যেন এমন ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে যে এই বিষয়ে তার চাইতে নিকৃষ্ট । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ)
কেউ যদি একটি গাছের চারা লাগায় আর তা থেকে কোন মানুষ বা অন্য কোন সৃষ্টজীব কিছু খায় তবে তা সেই ব্যক্তির জন্য দান হিসাবে গণ্য হবে । (আল হাদিস)
কেউ যদি একটি গাছের চারা লাগায় আর তা থেকে কোন মানুষ বা অন্য কোন সৃষ্টজীব কিছু খায় তবে তা সেই ব্যক্তির জন্য দান হিসাবে গণ্য হবে । (আল হাদিস)
☼ জ্ঞান হলো কর্মের নেতা এবং কর্ম হলো জ্ঞানের অনুসারী । (মিনহাজুল আবেদীন)
☼ ব্যভিচারী ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , মদ্যপ যখন মদ পান কবে তখন সে ঈমানদার থাকে না । (বোখারী ,মুসলিম )
☼ প্রতিটি বিষয়ই ভাগ্যলিপি অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে , এমনকি অক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তাও । (মেশকাত)
☼ তোমাদেব কেউ যেন নিজের স্ত্রীকে ভৃত্যের ন্যায় প্রহার না কবে। কারণ দিনের শেষে সে তো আবার সেই স্ত্রীর সাথেই সঙ্গম করবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ)
☼ দুনিয়া ধ্বংস প্রাপ্ত হবে না যে পযর্ন্ত না আমার খান্দানের এক ব্যক্তি সমগ্র আরব ভূ-খন্ডের অধিপতি না হবে। তাঁর নাম হবে আমার নামে। — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ তোমরা কবরের নিকট আসা-যাওয়া করিও । এদ্বারা হিংসা রোগ দূর হয়ে যায় এবং বিরাট উপদেশ লাভ হয় । – আল হাদীস
☼ তোমরা দু’টি অভিশাপযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকবে, যথা- লোকের চলাচলের রাস্থায় এবং গাছের ছায়ায় বিশ্রাম গ্রহণের স্থানে মল-মুত্র ত্যাগ করা। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ঃ)
☼ প্রকৃত সম্পদশালীতা ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে উপর নির্ভরশীল নয় বরং প্রকৃত ধনাঢ্যতা হলো অন-রের বড়ত্ব। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ)
☼ তুমি মোমিন ব্যতিত কারো সঙ্গ লাভ করো না এবং তোমাদের নিমন্ত্রণের খাবার যেন ধার্মিক লোক ভিন্ন কেহ আহার না করে। – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ আল্লাহর নিকট বৈধ কাজসমূহের মধ্যে তালাক হইল সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ)
☼ নবী করীম (দঃ)-এর নেতৃত্বাধীন কোন যুদ্ধে এক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল। এতে নবী করীম (দঃ) খুবই মর্মাহত হলেন এবং নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করে দিলেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সময় যদি তার কপাল ঘর্ম সিক্ত হয় , চক্ষু থেকে অশ্রু বের হয় এবং নাকের ছিদ্র প্রসারিত হয় , তবে তা রহমতের লক্ষণ। পক্ষান্তরে গলা থেকে যদি উটের গলা টিপার ন্যায় আওয়াজ আসতে থাকে এবং চেহারা মলিন হয়ে মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে , তবে তা আজাবের লক্ষণ। – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি ঋতুস্রাব অবস্থায় স্ত্রীসহবাস করল , স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করল কিংবা কোন জ্যোতিষীর কাছে গেল , সে মোহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্মকে অস্বীকার করল । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ কেয়ামতের দিন তোমাদের কেউ যেন এই অবস্থায় আমার নিকট না আসে যে তার ছাগল তার ঘাড়ের ওপর চাপানো থাকবে আর তা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতে থাকবে এবং সে আমাকে (সাহায্যের জন্য) ডাকতে থাকবে। আমি বলবো , তোমার জন্য আজ আমি কিছুই করতে পারবো না । আমি তো আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ তোমাকে পৌছে দিয়েছিলাম । – আল হাদীস
☼ আমি সুদীর্ঘ দশ বৎসর রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর সেবা করেছি। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি একদিনও আমাকে বলেননি যে একাজটি কেন করলে বা ঐকাজটি কেন করলে না । (আল হাদীস)
☼ আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বেই আল্লাহ সকল সৃষ্টজীবের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন । তখন আল্লাহর সিংহাসন ছিল পানির উপর। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে , রমজানের রোজা রাখে , নিজের সতীত্ব রক্ষা করে চলে এবং স্বামী আদেশ মেনে চলে , তবে সে যে দরজা দিয়ে ইচছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)