Showing posts with label ইসলাম ও সমাজ. Show all posts

রিযকের হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহর ইচ্ছাধীন

আল্লাহ তাআলা বলেন :‘বল, ‘আমার রব যার জন্য ইচ্ছা রিয্ক প্রশস্ত করেন অথবা সঙ্কুচিত করেন। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।’ সূরা সাবা : (৩৬)
আল্লাহ তাআলা নিজ বান্দাদের পরীক্ষা ও পরখ করার জন্য রিযক বৃদ্ধি বা হ্রাস করেন। রিযক বৃদ্ধি যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ নয়, অনুরূপ রিযকের সংকীর্ণতা তার অসন্তুষ্টির কারণ নয়। অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়টি জানে না। দুনিয়ার সচ্ছলতা কারো শুভলক্ষণের দলিল নয়, কারণ আখেরাতের সাফল্য নির্ভর করে নেক আমলের উপর, যা চিরস্থায়ী ও চিরকাল। দুনিয়াতে কখনো আল্লাহ অবাধ্যকে দেন সচ্ছলতা, আনুগত্যকে দেন সংকীর্ণতা। আবার কখনো এর বিপরীত করেন। কখনো উভয়কে সচ্ছলতা দেন, কখনো দেন সংকীর্ণতা। কখনো অবাধ্য বা আনুগত্য একই ব্যক্তিকে এক সময় দেন সচ্ছলতা, অপর সময় দেন অস্বচ্ছলতা। এসব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন আল্লাহ তাআলা নিজ প্রজ্ঞা ও হিকমতের ভিত্তিতে, যদি সচ্ছলতা সম্মান ও আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ হতো, তাহলে এর অধিকারী একমাত্র অনুগতরাই হতো, অবাধ্যরা কখনো এর স্বাদ পেত না। আর যদি সংকীর্ণতা অপমান ও আল্লাহর গোস্বার কারণ হতো, তাহলে অবাধ্যরা সদা সংকীর্ণতা ভোগ করত, অথচ বাস্তব এমন নয়। সারকথা সচ্ছলতা বা সংকীর্ণতা অবাধ্য বা অনুগত উভয়ের জন্যই সমান।
কতক কাফের সচ্ছলতাকে সামনে রেখে তাদের পক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রমাণ পেশ করেছে, যদি আমাদের উপর আল্লাহর অনুকম্পা না হত, তাহলে তিনি আমাদেরকে সচ্ছলতা দিয়ে সম্মানিত করতেন না। হে রাসূলের অনুসারীগণ, আল্লাহর নিকট তোমরা তুচ্ছ বলেই বঞ্চিত। বস্তুত সচ্ছলতা বা অস্বচ্ছলতা শুভ লক্ষণ বা অশুভ কোন লক্ষণ নয়, হতভাগা বা সৌভাগ্যবান হওয়ারও কোন আলামত নয়। এ পার্থিব জগতে অনেক সচ্ছল ব্যক্তি বিদ্যমান যারা হতভাগা, আবার অনেক অসচ্ছল ব্যক্তি রয়েছে যারা সৌভাগ্যবান। অধিকাংশ লোকই তা জানে না। অভাব, অস্বচ্ছলতা, প্রবৃদ্ধি, সচ্ছলতা ইত্যাদি আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল, নেককার বা বদকার বলে কোন বিষয় নেই। সম্মান ও মর্যাদার কারণে যেমন কাউকে সচ্ছলতা প্রদান করা হয় না, আবার হীন ও তুচ্ছতার কারণে কাউকে অভাব দেয়া হয় না। সচ্ছলতা কখনো অবকাশ ও সুযোগ হিসেবে প্রদান করা হয়, অস্বচ্ছলতা কখনো মর্যাদা বৃদ্ধি ও পরীক্ষামূলক দেয়া হয়।
তাবারি বলেছেন :


‘দাম্ভিক কাফেররা আল্লাহর নবী ও রাসূলদের বলেছে : তোমাদের তুলনায় আমাদের সম্পদ ও সন্তান অধিক, আমাদেরকে আখেরাতে আযাব দেয়া হবে না, কারণ আল্লাহ যদি আমাদের বর্তমান ধর্ম ও আমলের উপর সন্তুষ্ট না হতেন, তাহলে আমাদেরকে তিনি অধিক সম্পদ ও সন্তান দান করতেন না, রিযকের ব্যাপারে স্বচ্ছলতা দিতেন না, তাই আল্লাহ আমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা এ জন্যই দিয়েছেন যে, তিনি আমাদের আমলের উপর সন্তুষ্ট, আমরা তার প্রিয় পাত্র। আল্লাহ তাআলা তার নবীকে বলেন : হে মুহাম্মদ তাদেরকে বল : নিশ্চয় আমার রব তার বান্দাদের থেকে যার জন্য ইচ্ছা রিযক বৃদ্ধি করেন, আর যার উপর ইচ্ছা তিনি সংকীর্ণ করেন। মহব্বত, কল্যাণ কিংবা নৈকট্যের কারণে কাউকে তিনি ধন দৌলত প্রদান করেন না, আবার অসন্তুষ্টি ও গোস্বার কারণে তিনি কারো উপর সংকীর্ণতা করেন না। শুধু পরীক্ষার জন্য কাউকে প্রদান করেন, করো থেকে ছিনিয়ে নেন। অধিকাংশ লোক তা জানে না। এটা আল্লাহর একটা পরীক্ষা মাত্র, কিন্তু তাদের ধারণা, প্রিয়পাত্র হলে তিনি সচ্ছলতা দেন, আবার গোস্বার পাত্র হলে তিনি অভাবে পতিত করেন।’
আল্লামা শাওকানি বলেছেন :


‘আল্লাহ যাকে অভাব দিতে চান, তার উপর তিনি অভাব সৃষ্টি করেন। কখনো আল্লাহ কাফের ও অবাধ্যকে রিযক প্রদান করে অবকাশ দেন, আবার কখনো তিনি মুমিন ও আনুগত্যকারীকে অভাবের মাধ্যমে পরীক্ষা করেন, যেন তার সাওয়াব বৃদ্ধি পায়। কাউকে স্বচ্ছলতা দেয়ার অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ তার উপর ও তার আমলের প্রতি সন্তুষ্ট। আবার কাউকে অভাবে রাখার অর্থ এই নয় যে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট, কিংবা তার আমল পরিত্যাজ্য। পার্থিব এসব বিষয় দ্বারা আখেরাতকে বুঝা ভুল ও স্পষ্ট বিভ্রান্তি’।
সহিহ মুসলিমে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
” إنَّ اللّهَ لاَ يَنْظُرُ إلى صُوَرِكُمْ وَأَمْوَالِكُمْ ، ولكن يَنْظُرُ إلى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ ” انتهى .
নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের চেহারা ও সম্পদের দিকে তাকান না, কিন্তু তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে তাকান।’
অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত যে,  প্রয়োজনের চেয়ে অধিক সম্পদ দ্বারা খুব কম লোকই সুখী হয়েছে, তবে আল্লাহ যাকে হিফাজত সুরক্ষা দিয়েছেন তার কথা ভিন্ন। আল্লাহ তাআলা বলেন :
‘আর আল্লাহ যদি তার বান্দাদের জন্য রিয্ক প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে তারা জমিনে অবশ্যই বিদ্রোহ করত।’ সূরা শুরা : (২৭)
সহিহ বুখারী ও অন্যান্য কিতাবে আবুযর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :


‘অধিক সম্পদের মালিকরা কিয়ামতের দিন অল্প সম্বলের মালিক হবে, তবে যে তার সম্পদ দ্বারা  করে ।’হাদিস বর্ণনাকারী ইবনে শিহাব সামনে, বামে ও ডানে হাত নেড়ে এর অর্থ বর্ণনা করেন। অর্থাৎ অধিক সদকাকারী। কিন্তু এদের সংখ্যা খুব কম

লেখকঃ জিয়াদ আবু রাজায়ী
অনুবাদকঃসানাউল্লাহ নজির আহমদ
সবটুকু একত্রে পড়ুন "রিযকের হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহর ইচ্ছাধীন"

যুলুম বা অত্যাচার করা – ১ম পর্ব


কবীরা গুনাহ- অধ্যায় ২৭
ইমাম আয যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ)


যুলুম বা অত্যাচার বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে অধিক প্রচলিত রূপ হচ্ছে
মানুষের সম্পদ হরণ,
জোর পূর্বক অন্যের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া,
মানুষকে প্রহার করা,
গালিগালাজ করা,
বিনা উস্কানীতে কারো উপর আক্রমণ
এবং আর্থিক, দৈহিক ও মর্যাদার ক্ষতিসাধন
এবং দুর্বলদের উপর নৃশংসতা চালানো ইত্যাদি।
এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে সূরা ইবরাহীমে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“যালিমদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহকে কখনো উদাসীন মনে করো না। আল্লাহ এদেরকে শুধু একটি সুনির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত বিলম্বিত করেন,
যেদিন চক্ষুসমূহ বিস্ফোরিত হবে,
তারা মাথা নিচু করে উঠিপড়ি করে দৌড়াতে থাকবে,
তাদের চোখ তাদের নিজেদের দিকে ফিরবে না
এবং তাদের হৃদয়সমূহ দিশাহারা হয়ে যাবে।

মানুষকে আযাব সমাগত হওয়ার দিন সম্পর্কে সাবধান করে দাও।
সেদিন যুলুমবাজরা বলবে; হে আমাদের প্রভূ ! অল্প কিছুদিন আমাদেরকে সময় দিন,
তাহলে আমরা আপনার দাওয়াত কবুল করে রাসূলদের অনুসরণ করব।
তোমরা কি ইতিপূর্বে কসম খেয়ে খেয়ে বলতে না যে তোমাদের পতন নেই?

যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছে, তোমরা তো তাদের বাসস্থানে বাস করেছ
এবং সেসব যালেমের সাথে আমি কেমন আচরণ করেছি,
তা তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গেছে।
উপরন্তু আমি তোমাদের জন্য অনেক উদাহরণ দিয়েছি।” (সূরা ইবরাহীম ৪২-৪৫)

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে আরো বলেন, “শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে।” (সূরা আশ শুয়ারা ৪২)
সূরা আশ শুরার শেষ আয়াতে তিনি বলেছেন,”যুলুমবাজরা তাদের যুলুমের পরিণতি সহসাই জানতে পারবে।” (সূরা আশ শুয়ারা ২২৭)
এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; “আল্লাহ যালেমকে সুদীর্ঘ সময় দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন পাকড়াও করেন তখন তাকে আর রেহাই দেন না।” (বুখারী, মুসলিম) এরপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন,”তোমার প্রভূর পাকড়াও এ রকম হয়ে থাকে, যখন তিনি যুলুমরত জনপদসমূহকে পাকড়াও করেন। তাঁর পাকড়াও অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, অপ্রতিরোধ্য।” (সূরা হুদ ১০২)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; “কেউ যদি তার কোন ভাইয়ের সম্মানহানি কিংবা কোন বস্তুর ক্ষতিসাধন করে থাকে, তাহলে আজ তার কাছ থেকে তা বৈধ করে নেয়া উচিত অর্থাৎ ক্ষমা চেয়ে নেয়া উচিত এবং সে ভয়াবহ দিন আসার আগে এটা করা উচিত, যেদিন অর্থ দিয়ে কোন প্রতিকার করা যাবে না, বরং তার কাছে কোন নেক আমল থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ হিসেবে মযলুমকে উক্ত নেক আমল দিয়ে দেয়া হবে এবং তার কোন অসৎ কাজ না থাকলেও উক্ত মযলুমের অসৎ কাজ তার ওপর বর্তানো হবে।” (বুখারী ও তিরমিযি)
আর একটি হাদীসে কুদসীতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ বলেছেনঃ “হে আমার বান্দারা ! আমি নিজের ওপর যুলুম হারাম করে দিয়েছি এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যেও তা হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা পরস্পরের ওপর যুলুম করা থেকে বিরত থাক।” (মুসলিম, তিরমিযি)
অন্য এক হাদীসে উল্লেখ রয়েছে; “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘তোমরা কি জান, দরিদ্র কে? তাঁরা বললেন, আমাদের মধ্যে যার অর্থ সম্পদ নেই, সে দরিদ্র। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন; আমার উম্মতের মধ্যে দরিদ্র ব্যক্তি সে, যে কিয়ামতের দিন প্রচুর নামায, যাকাত, রোযা ও হজ্জ্ব সাথে করে আনবে, কিন্তু সে এমন অবস্থায় আসবে,
কাউকে গালি দিয়ে এসেছে,
কারো সম্পদ হরণ করে এসেছে,
কারো সম্মান হানি করেছে,
কাউকে প্রহার করেছে,
কারো রক্তপাত করেছে। এরপর এ ব্যক্তির সৎ কর্মগুলো তাদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হবে। এভাবে মযলুমদের ক্ষতি পূরণের সাথে তার সৎ কাজগুলো শেষ হয়ে গেলে মযলুমদের গুনাহগুলো একে একে তার ঘাড়ে চাপিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।” (বুখারী)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; “যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণও অন্যের জমি জবর দখল করবে, কিয়ামতের দিন তার ঘাড়ে সাতটি পৃথিবী চাপিয়ে দেয়া হবে।” ( বুখারী ও মুসলিম)
হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেছেনঃ “আমি সে ব্যক্তির উপর অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হই, যে এমন ব্যক্তির উপর অত্যাচার করে, যার আমি ব্যতীত কোন সাহায্যকারী নেই।”
তাওরাতে বর্ণিত রয়েছে যে, ” কিয়ামতের দিন পুলসিরাতের পাশ থেকে একজন এ বলে ঘোষণা দিতে থাকবেঃ “ওরে বলদর্পী, নিষ্ঠুর যালেমগণ! আল্লাহ নিজের মর্যাদা ও প্রতাপের শপথ করে বলেছেন, আজকের দিন কোন অত্যাচারী এ পুল পার হয়ে জান্নাতে যেতে পারবে না।”
হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, “মক্কা বিজয়ের বছর যখন আবিসিনিয়ায় হিজরতকারী মুহাজিরগণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে প্রত্যাবর্তন করেছিল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ “তোমরা কি আমাকে আবিসিনিয়ায় থাকাকালীন কোন বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা জানাবে? তখন মুহাজিরদের মধ্য থেকে এক যুবক বলল; ‘জ্বী -হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! একদিন আমরা সেখানে বসা থাকা অবস্থা দেখলাম, আমাদের পাশ দিয়ে এক বৃদ্ধা মাথায় এক কলসী পানি নিয়ে যাচ্ছে। সহসা এক যুবক এসে তার ঘাড়ে হাত দিয়ে জোরে ঠেলা দিলে তাতে বৃদ্ধা পড়ে গেল এবং তার পানির কলসীও পড়ে ভেঙ্গে গেল। বৃদ্ধা উঠে দাঁড়িয়ে সে যুবকটির দিকে তাকিয়ে বলল, “হে বিশ্বাসঘাতক ! আল্লাহ যেদিন আরশ স্থাপন করবেন, যেদিন আগের ও পরের সকল মানুষকে সমবেত করবেন, এবং যেদিন মানুষের হাত ও পা তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দিবে, সেদিন তুই দেখে নিস, আল্লাহর সামনে তোর কি পরিণতি হয় এবং আমার কি অবস্থা হয়।” একথা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “বৃদ্ধা ঠিক বলেছে। যে জাতি তার দুর্বলদের কল্যাণার্থে সবলদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে না, সে জাতিকে আল্লাহ কিভাবে সম্মানিত করবেন?” (ইবনে মাজাহ, ইবনে হাববান ও বায়হাকী)
সবটুকু একত্রে পড়ুন "যুলুম বা অত্যাচার করা – ১ম পর্ব"