Archive for July 2011

সারা দেশে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবিহ্ পড়ার আহ্বান

পবিত্র রমজান মাসে দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবিহ্ পড়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। খতম তারাবিহ্ পড়ার সেই পদ্ধতিটিও নির্ধারণ করে দিয়েছে ফাউন্ডেশন। জাতীয় সংস্থাটির নির্ধারণ করা পদ্ধতি অনুযায়ী, প্রথম ছয় দিনে দেড় পারা করে নয় পারা এবং পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে খতম তারাবিহ্ শেষ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজানে দেশের সব মসজিদে কোরআন শরিফের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করা হয় না। বরং একেক মসজিদে একেকভাবে এটি করা হয়।
এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের মধ্যে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায় না। এ পরিস্থিতি নিরসন করার লক্ষ্যে এ পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।প্রথম আলো
সবটুকু একত্রে পড়ুন "সারা দেশে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবিহ্ পড়ার আহ্বান"

পবিত্র শবে বরাত

আগামী দিনগুলো মঙ্গলময় হয়ে উঠুক
 আজ পবিত্র শবে বরাত। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটি ভাগ্য নির্ধারণের রাত। বরকতময় এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আল্লাহর অশেষ রহমত ও দয়া বর্ষিত হয়। এই রাতে ক্ষমাপ্রার্থনার মাধ্যমে ভবিষ্যতে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করা যায়।
ইসলাম ধর্মে শবে বরাতকে চারটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রজনীর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এ রাতে আল্লাহ পরবর্তী বছরের জন্য মানবজাতির রিজিক ও সবার ভাগ্য নির্ধারণ করেন এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সব পাপ ক্ষমা করে দেন। এ রাতেই যারা পরবর্তী বছরে জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করবে, তাদের তালিকা করা হয়। এ কারণেই রাতটি মুসলমানদের কাছে ভাগ্য নির্ধারণের রজনী হিসেবে বিবেচিত। এ রাতে মুসলমানেরা আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করবে; যারা রিজিক অনুসন্ধানকারী, তারা প্রার্থনা করবে রিজিকের জন্য। বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করবে বিপদগ্রস্ত মানুষ। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই রাতে নফল ইবাদত-বন্দেগিতে নিমগ্ন থাকতে মুসলমানদের নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন রহমত ও দয়ার ভান্ডার। তাই মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এটি উৎসবের রাতও।
ধর্মীয় দিকের পাশাপাশি ঐতিহ্যগতভাবে এ উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় মুসলিম সম্প্রদায়। তারা সাধ্যমতো ভালো খাবার তৈরি করে এবং প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণের মাধ্যমে এর আনন্দটুকু ভাগ করে নেয়। তবে ভালো খাবারদাবারের এ আয়োজন কারও কারও কাছে লোক দেখানো বিষয়ে পরিণত হয়েছে, যা শবে বরাতের চেতনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। লোক দেখানো এসব আয়োজনের চেয়ে এই রাতে গরিব-দুঃখীদের দান-খয়রাত করা এবং তাদের জন্য কিছু ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা উত্তম কাজ হিসেবে বিবেচিত।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পবিত্র এই রাতে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানোর যে রেওয়াজ একসময় গড়ে উঠেছিল, তা এখন আর নেই। তবে এ ধরনের কাজ একেবারে বন্ধ হয়েছে, এমনটি বলা যাবে না। পটকা বা আতশবাজি পোড়ানোর বিষয়টি এ রাতের পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্যকে যেমন নষ্ট করে, তেমনি যাঁরা রাতব্যাপী প্রার্থনায় মগ্ন থাকেন, তাঁদের ইবাদত-বন্দেগিতে ব্যাঘাত ঘটায়। পরিবারের ছোটরা যাতে এ ধরনের কাজ করতে না পারে, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সজাগ থাকতে হবে, যাতে কেউ পবিত্র এই রাতের ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট করতে না পারে।
আমাদের সমাজ যেমন সন্ত্রাস, অস্থিরতা ও হানাহানিমুক্ত হতে পারেনি, তেমনি এসব কারণে এখন সারা বিশ্বে মানুষের জীবন সংকটময় হয়ে উঠেছে। নিজের জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি আমরা দেশ ও বিশ্বমানবতার মঙ্গলেও সর্বশক্তিমান আল্লাহর করুণা প্রার্থনা করব। এই রাতের কল্যাণে সবার আগামী দিনগুলো সুন্দর ও মঙ্গলময় হয়ে উঠুক।


শবে-বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

আমরা সকলে জানি মুসলান ধর্মালম্বীদের কাছে শবে বরাত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু অনেকে বলে শবে বরাত পালন করা যায়েয নয় বা পালন করা ঠিক নয়। এই সম্পর্কে আমার কাছে সংরক্ষিত একটা দলিল তুলে ধরলাম।
পবিত্র ক্বোরআন মাজীদের ২৬ তম পারায় সূরা 'দুখানা' এর ৩নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "ইহা আমি অবেতীর্ণ করেছি এক মোবারক রজনীতে, অবশ্যই আমি শতর্ককারী। এই রজনীতে আমার আদেশক্রমে প্রত্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত।"
মুফাসিরিনে কেরামগণ আলোচ্য আয়াতকে 'বরকতময় রাত বলতে শবে-বরাত এবং শবে ক্বদর উভয় রাতকেই গ্রহণ করেছেন।
আমার কাছে কয়েকটি বড় বড় ব্যাখ্যা আছে যেগুলো লিখতে অনেক সময় লাগবে। তাই আমি সংক্ষেপে দু-একটি উল্লেখ করছি,
হযরত মাওলানা আশরাফ আলী তানবী (রহ:) তাঁর বিখ্যাত উর্দু তাফসীর 'বয়ানুল কুরআনে'-এ আলোচ্য আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে 'লাইলাতুল মুবারাকাহ' বলতে গিয়ে বলেন, "কেউ কেউ লাইলাতুল মুবারাকাহ এর ব্যাখ্যা লাইলাতুল বরাত করেছেন। এর কারণ এই যে, বিভিন্ন বর্ণনায় এ সম্পর্কেও বার্ষিক ঘটনাবলীর সিদ্ধান্তের বিষয় এসেছে।" (পৃষ্টা:৯৯, ২য় খন্ড)
শবে বরাতের পরিচয়:
আরবি শাবান মাসের চৌদ্দই দিবাগত পঁনের তারিখের রাতকে 'শবে বরাত' বলা হয়। এই রাতে একটি বছরের জন্য সৃষ্টি জগতের অদৃষ্ট বন্টন করা হয়। এই জন্য এই রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই কারণেই সাবান মাসের ফজিলত অনেক বেশি।
তাৎপর্য:
এই রাত্রি সম্পর্কে হযরত মোহাম্মদ (সা:) বলেন, এই রাত্রিতে এবাদত-কারিদের গুনাহরাশি আল্লাহ তা'আলা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সাথে শিরককারী, সুদখোর,গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে হুজুর (সা:) বলেছেন, "জিব্রাইল (আ:) আমাকে বলেছেন, আপনি আপনার উম্মতদের জানাইয়া দেন যে, তারা যেন শবে বরাতের রাতকে জিবীত রাখে।" অর্থাত্, সারারাত তারা যেন ইবাদতের মাঝে কাটাইয়া দেয়।
আরেকটি হাদীসে রাসূল (সা:) বলেছেন,এই রাত্রে আসমান থেকে ৭০ লক্ষ ফেরেশতা যমীনে আসিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া এবাদতকারী-দিগকে পরিদর্শন করেন এবং তাদের এবাতদ সমূহ দেখতে থাকেন।
অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যাক্তি সাবান চাঁদের পঁনের তারিখে রাতে এবাদত করবে এবং দিনে রোজা রাখবে, দোজখের আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
আরো এক হাদিসে রাসূল (সা:) বলেছেন, তোমরা শবে বরাতকে সম্মানিত মনে কর। এটা শাবান চাঁদের পঁনের তারিখের রাত্রি। এই রাত্রে যারা এবাদতে মগ্ন থাকে তাদের প্রতি আল্লাহ পাকের রহমতের ফেরেশাতাগণ আবতীর্ণ হয়। আর আল্লাহ তাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।
এক হাদীসে এসেছে নবী কারীম (সা:) বলেছেন, এই রাতে আল্লাহ তা'আলা মোমিন মুসলমাদিগকে ডাকিয়া বলেন, আজ আমার যে বান্দা মার্জনা কামনা করবে, আমি তাকে মার্জনা করে দেব। যে বান্দা সাস্থ্য কামনা করবে, তাকে সাস্থ্য দান করব। যে বান্দা ধনৈশ্ব্-র্যের কামনা করবে, তাকে ঐশ্বর্যশালী করে দিব।
শবে বরাতের রাতে করণীয়:
এই রাত্রের সূচনাতেই অর্থাত্ সূর্যাস্তকালে গোসল করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। অত:পর মাগরিবের নামাজ পড়ে বিভিন্ন তাসবি-তাহলীল পাঠ করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। তারপর এশার নামাজ পড়ে (বিতরের নামাজ বাকী রেখে) দুই রাকাত নিয়তে নফল নামাজ পড়তে পারেন। কিছুক্ষণ পর পর দোয়া করবেন। দরুদ শরীফ পড়বেন, ক্বোরআন তিলাওয়াত করবেন। বেশি বেশি করে কাজ্বা নামাগুলো আদায় করবেন। এভাবেই রাতটা কাটিয়ে দিতে পারলেই শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত পাওয়া যাবে। [ফজরের আগেই বিতরের নামাজ আদায় করতে হবে]

সবটুকু একত্রে পড়ুন "পবিত্র শবে বরাত"

মহানবীর (দঃ) নিবার্চিত বাণী-4

তোমরা জীবনের সকল স্বাদ বিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করো। আল হাদীস (তিরমিযী)
আল্লাহর নিকট শহীদদের ছয়টি পুরস্কার রয়েছে ঃ-(১) রক্তের প্রথম ফোটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতে তাকে তার ঠিকানা দেখিয়ে দেওয়া হয় । (২) কবরের আজাব হতে মুক্তি দেওয়া হয় । (৩) ইস্রাফিলের সিঙ্গার ফুৎকারের সময়কার ভীতিকর অবস্থা হতে মুক্ত থাকবে। (৪) তার মাথায় মর্যাদার মুকুট পড়ানো হবে যার প্রতিটি ইয়াকুত দুনিয়া ও তার মধ্যকার যাবতীয় সমপদ হতে অধিকতর মূল্যবান । (৫) তাকে বাহাত্তর জন আয়তলোচনা হুর দেওয়া হবে। (৬) সত্তরজন আত্মীয়ের জন্যে তার সুপারিশ গ্রহন করা হবে। আল হাদীস

যদি কোনো ব্যক্তি এই উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করে যে তা দিয়ে জ্ঞানীদের সাথে মতবিরোধ করবে কিংবা বোকাদের সাথে বিতর্ক করবে কিংবা মানুষকে নিজের দিকে আকর্ষণ করবে , আল্লাহ তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন । (মিনহাজুল আবেদীন)

যখন তোমার প্রতিবেশীকে বলতে শুনবে যে তুমি খারাপ কাজ করেছ , তখন প্রকৃতই তুমি খারাপ কাজ করেছ । আর যখন তুমি বলতে শুনবে যে তুমি ভাল কাজ করেছ, তখন তুমি প্রকৃতই ভাল কাজ করেছ । আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)

আমি আদম সন্তানের সরদার , আমিই নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ নবী। (আল হাদীস)

আমার অনুসারীগণ যখন ১৫টি কাজে লিপ্ত হবে , তখন তাদের উপর বিপদ-আপদ , রোগ-শোক আসতে থাকবে । ১। যুদ্ধলব্ধ সমদেকে যখন ব্যক্তিগত সম্পদ গন্য করা হবে। ২। আমানতকে যখন আত্মসাত করা হবে । ৩। যাকাত দেওয়াকে অপচয় মনে করা হবে। ৪। লোকেরা যখন স্ত্রীদের অনুগত এবং মায়ের অবাধ্য হবে। ৫। যখন বন্ধু-বান্ধবদের সহিত সদ্‌ব্যবহার করা হবে । ৬। পক্ষান-রে পিতার সাথে দুর্ব্যবহার করা হবে। ৭ । মসজিদে যখন চেচামেচি করা হবে। ৮। সমাজের নিকৃষ্ট লোকেরা যখন নেতত্বে করবে। ৯। যখন লোকেরা অত্যাচারের ভয়ে কাউকে সম্মান করবে। ১০। যখন প্রকাশ্যে মদ্যপান করা হবে। ১১। পুরুষেরা যখন রেশমী বস্ত্র পরিধান করবে। ১২। যখন গায়িকা-নর্তকীর ব্যবস্থা করা হবে । ১৩। যখন বাদ্যযন্ত্র সহজ লভ্য হবে । ১৪। যখন সাহাবীদের ও তাবেয়ীদের সমালোচনা করা হবে , তখন তোমরা আল্ল াহর শাস্তির অপেক্ষা করো । যেমন- ঘূর্ণিঝড় , ভূমিধ্বস , চেহারা বিকৃতি প্রভৃতি । আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)

সেই আল্লাহর কসম যার হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ- যে গনিমতের মাল থেকে একটি কম্বল তুলে নিয়েছে অথচ সেটা তাকে সরকারীভাবে বিতরণ করা হয়নি-তবে ঐ কম্বল তার দেহে আগুন হয়ে জ্বলবে। -আবু দাউদ
তোমরা মুমূর্ষূ ব্যক্তির সন্নিকটে থাক এবং তাকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহপড়ে শোনাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শোনাও । কেননা সেই সময় বিচক্ষণ নর-নারীরাও ভয় পেয়ে যায় আর শয়তান খুব সক্রিয় থাকে । সেই সত্ত্বার কসম, আজরাইলকে দেখা হাজার তরবারির আঘাত অপেক্ষাও বেশী কষ্টদায়ক । আল হাদীস

আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহতায়ালা প্রতিটি সৃষ্টির ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেছেন । তখন তাঁর আরশ ছিল পানির উপর । (মেশকাত)

যে ব্যক্তি মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে এবং সৎকর্মের দ্বারা আখেরাতের পুঁজি তৈরী করে , সেই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী। আল হাদীস

আল্লাহ্ তায়ালা সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হলো আমার নুর । আমাকে অতীত ও ভবিষ্যতের সমস্ত জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে। (আল হাদীস)

জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ (কর্তব্য) । {বায়হাকী শরীফ ‍ঃ}

নিশ্চিতভাবেই ধর্মীয় জ্ঞান হচেছ ধর্মের ভিত্তিস্বরূপ। অতএব লক্ষ্য রেখো যে, কাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করছ । (মুসলিম , তিরমিযী)

চোখের মাধ্যমেও ব্যভিচার হয় , পায়ের দ্বারাও ব্যভিচার হয় এবং লজ্জাস্থান দ্বারা ব্যভিচার পূর্ণতা লাভ করে। আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)

আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমন যে , আমি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যে পযর্ন্ত না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নেই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর রাসুল এবং নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে। আল হাদীস

কর্ম যাকে পিছিয়ে দেয় বংশ তাকে এগিয়ে দিতে পারে না । আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে সাত বছর বয়সেই নামাযের আদেশ কর, দশ বছর বয়সে নামাযের জন্য শাস্তি বিধান কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও । আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

প্রবীণ মুসলমান , সৎপন্থী জ্ঞানী ব্যক্তি এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন স্বয়ং আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন-র্ভুক্ত । আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

আগুন দ্বারা শাস্তি প্রদান করার অধিকার কেবল মাত্র আল্লাহর জন্যই নির্ধারিত । আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

আপনজনদের সাথে উত্তম আচরণের পুরস্কার আল্লাহপাক যত দ্রুত দিয়ে থাকেন , অন্যকোন কর্মের পুরস্কার এত দ্রুত দেন না । পক্ষান্তরে আপনজনদের সাথে সমপর্কচেছদের শাস্তিও আল্লাহপাক যত দ্রুত দিয়ে থাকেন আর কোন পাপের শাস্তি এত দ্রুত দেন না । (আল হাদীস)
তোমরা অপরিচিত নারীদের নিকট যাতায়াত করা থেকে বিরত থাক। জিজ্ঞাসা করা হলো দেবর সম্পর্কে কি বিধান ? তিনি বললেন, দেবর হচেছ (নারীদেব জন্য ) মৃত্যুর সমতুল্য । (বোখরী)

যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা প্রচার করবে যা আমি বলি নাই, তবে সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয় । (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))

আমার এই মসজিদে এক রাকাত নামায মসজিদুল হারাম ব্যতিত অন্যান্য মসজিদে এক হাজার রাকাত নামায অপেক্ষা উত্তম । -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))

সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

যে ব্যক্তি রমযান মাসের সাতাইশ তারিখের রজনীকে জীবিত রাখবে, তার আমলনামায় মহান আল্লাহ সাতাইশ হাজার বৎসর ইবাদতের সমতুল্য সওয়াব দান করবেন এবং জান্নাতে অগণিত মনোরম বালাখানা তৈরী করবেন যার সংখ্যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না । -(আল হাদিস)

হে আলী ! তিনটি বিষয়ে কখনো বিলম্ব করবে না ঃ-(১) নামাযের যখন সময় হয়ে যাবে, (২) জানাযা যখন উপস্থিত হয়ে যাবে, (৩) কুমারী মেয়ের জন্য যখন সুপাত্র পাওয়া যাবে। আল হাদীস (তিরমিযী)

কোনো ব্যক্তি রমযান মাসে যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তবে তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং সে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করবে। আল হাদীস

আমি নামায আদায় করি আবার ঘুমিয়েও থাকি, রোজা রাখি আবার ছেড়েও দিই এবং বিয়েও করি। যে ব্যক্তি আমার আদর্শকে বর্জন করবে সে আমার অনুসারী নয় । আল হাদীস আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

সাবধান ! তোমরা মেয়েদের মোহরানার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না । (কারণ) আমার জানা নেই যে , রাসুলুল্লাহ (দঃ) তাঁর কোন পত্নীকে বিয়ে করার সময় কিংবা তাঁর কোন কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার সময় বার ‘‘উকিয়া’’(পাঁচশত দিরহাম)-এর অধিক মোহরানা ধার্য করেছেন । (তিরমিযী , মুসনাদে আহমদ)
নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক আমার পরেই তোমাদেরকে শামের উপর বিজয় দান করবেন । উহার সীমানা হলো আরশী হতে ফোরাত পযর্ন্ত। সেখানকার নারী , পুরুষ এবং তাদের বংশধরগণ কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদে রত থাকবে। সুতরাং তোমাদের যে কেহ শামের অথবা বায়তুল মোকাদ্দাসের কোন অঞ্চলে বসবাস করবে, সে কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদে লিপ্ত থাকবে। আল হাদীস

তোমরা ইহুদীদের বিপরীত কাজ করতে সেহ্‌রী খাও । যেহেতু ইহুদীরা রোজা রাখে কিন্তু সেহ্‌রী খায় না । সুতরাং যে সেহ্‌রী খেয়ে রোজা রাখবে সে ইহুদীদের সংখ্যা অনুপাতে সওয়াব লাভ করবে। আল হাদীস

মিতব্যয় জীবিকার অর্ধেক, উত্তম প্রশ্ন শিক্ষার অর্ধেক এবং লোকজনকে ভালবাসা জ্ঞানের অর্ধেক। আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)

একদা রাসুলুল্লাহ (দঃ) এক যুবকের নিকট উপস্থিত হলেন । সেই সময় ঐ যুবক মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল। তিনি যুবককে জিজ্ঞেস করলেন–‘‘তোমার অবস্থা কি ?’’ সে বলল–‘‘আল্লাহর নিকট থেকে ক্ষমার আশা করছি আবার পাপের কারণে ভয়ও পাইতেছি।’’ রাসুলে করীম (দঃ) বললেন–‘‘মৃত্যুর সময় যার মধ্যে এ দুটি জিনিস পাওয়া যায় আল্লাহ তার আশা পূরণ করবেন এবং তাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রাখবেন ।’’ – আল হাদীস
সবটুকু একত্রে পড়ুন "মহানবীর (দঃ) নিবার্চিত বাণী-4"

মহানবীর (দঃ) নিবার্চিত বাণী-3

হে মুসলিম নারীগণ ! কোনো নারী যেন তার প্রতিবেশী নারীকে উপহার দেওয়াকে তুচছ মনে না করে, যদিও তা একটি বকরীর খুর হোক না কেন । (বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

আমার উম্মতের মধ্যকার যারা ভাগ্যে বিশ্বাস করে না, তারা অগ্নিপূজক সমতুল্য। এদের কেউ অসুস্থ হলে তোমরা তাদের দেখতে যাবে না । এদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের জানাযায় যাবে না । আল হাদীস

নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে এমন একটি অংশ আছে যা পবিত্র থাকলে গোটা দেহটাই সুস্থ থাকে আর তা কলুষিত হলে গোটা দেহটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে । জেনে রেখো তার নাম হলো অন-করণ। আল হাদীস

যে রাতে আমাকে উর্ধ্ব ভ্রমণ করানো হলো সে রাতেই আমি জান্নাত পরিদর্শন করেছিলাম । জান্নাতে আমি চারটি নদী দেখেছিলাম যার একটি পানির , একটি দুধের , একটি পবিত্র শরাবের এবং একটি মধুর। আল হাদীস

আল্লাহর কসম, সেই ব্যক্তি ঈমানদার নয় । (এভাবে তিনবার বললেন) জিজ্ঞেস করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল (দঃ) , কে ঈমানদার নয় ? তিনি বললেন, সেই ব্যক্তি যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশীরাও রেহাই পায় না । আল হাদীস আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

আল্লাহ জ্ঞানকে মানুষের নিকট হইতে বলপূর্বক কেড়ে নিবেন না বরং জ্ঞানীদেরকে উঠিয়ে নিয়ে জ্ঞানকে উঠিয়ে নিবেন । যখন পৃথিবীতে কোন জ্ঞানী ব্যক্তি থাকবে না , তখন মানুষেরা মূর্খদেরকে নিজেদের নেতা নিযুক্ত করবে এবং তাদের নিকটই সব কিছু জানতে চাইবে । তারা অজ্ঞতার কারণে ভুল ফতোয়া দিয়ে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে । আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

কেউ কোন সমপদের মালিক হলে বছরানেত তার উপর যাকাত ফরজ হবে । যাকাত ছাড়াও দেয় আছে । (তিরমিযী , মুসলিম)

আমি যদি মানুষকে নির্দেশ দিতাম কাউকে সেজদা করার জন্য তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সেজদা করার জন্য । আল হাদীস (তিরমিযী)
তোমরা শিশুদের ভালবাস এবং তাদের প্রতি মমতা প্রদর্শন কর। তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ কর। কেননা তারা তোমাদেরকে তাদের রিজিকদাতা মনে করে থাকে । আল হাদীস আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

এক মজলিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , যে ব্যক্তির অনতরে সরিষার দানা পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন , “ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ! আমি পরিচছন্ন জামা-জুতো পরিধান করতে পছন্দ করি । এটাও কি অহঙ্কারের পর্যায়ে পড়ে ”? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , “ না । আল্লাহ সুন্দর , তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন এবং বান্দাদের যে নেয়ামত দান করেছেন , তার কিছূটা বহিঃপ্রকাশও তিনি দেখতে চান । সমপদ থাকা সত্ত্বেও হত-দরিদ্রের বেশ ধরে থাকাকে তিনি পছন্দ করেন না । প্রকৃতপক্ষে অহঙ্কার হলো অন্যকে তুচছ জ্ঞান করা । যে ব্যক্তি নিজ হাতে জুতা পরিস্কার করে , প্রয়োজনে নিজের পোষাকে তালি লাগায় এবং সময়মত আল্লাহকে সেজদা করে , (ধরে নেওয়া যায়) সে অহঙ্কার থেকে মুক্ত । (আল হাদীস)

কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পযর্ন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পযর্ন্ত না সে চারটি বিষয়ের প্রতি ঈমান আনবে। যথা-(১) আল্লাহ ব্যতিত কোন উপাস্য নেই- বলে সাক্ষ্য দেওয়া এবং ঘোষণা করা। (২) আমি যে আল্লাহর রাসুল এবং তিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরন করেছেন । (৩) মৃত্যু এবং পুনঃরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। (৪) তকদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। আল হাদীস

সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো কোনো ব্যক্তির এমন বস্তু প্রদর্শন করা যা তার চক্ষুদ্বয় দর্শন করেনি। আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

যে ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান অন্বেষণে লিপ্ত থাকে , আল্লাহ স্বয়ং তার জীবিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন । (কানযুল উম্মাল)

হে লোকেরা ! বাকশক্তিহীন প্রাণীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় কর। (আল হাদীস)

তোমাদের কেহ পূর্ণ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন- না সে নিজের ভাইয়ের জন্য তাই পছদে করবে , যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))

যদি এমন কারো উপরে তোমাদের দৃষ্টি পড়ে যে সম্পদ এবং সৌন্দর্যের দিক থেকে তোমাদের চাইতে শ্রেষ্ট তাহলে সে যেন এমন ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে যে এই বিষয়ে তার চাইতে নিকৃষ্ট । আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
কেউ যদি একটি গাছের চারা লাগায় আর তা থেকে কোন মানুষ বা অন্য কোন সৃষ্টজীব কিছু খায় তবে তা সেই ব্যক্তির জন্য দান হিসাবে গণ্য হবে । (আল হাদিস)

জ্ঞান হলো কর্মের নেতা এবং কর্ম হলো জ্ঞানের অনুসারী । (মিনহাজুল আবেদীন)

ব্যভিচারী ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , মদ্যপ যখন মদ পান কবে তখন সে ঈমানদার থাকে না । (বোখারী ,মুসলিম )

প্রতিটি বিষয়ই ভাগ্যলিপি অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে , এমনকি অক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তাও । (মেশকাত)

তোমাদেব কেউ যেন নিজের স্ত্রীকে ভৃত্যের ন্যায় প্রহার না কবে। কারণ দিনের শেষে সে তো আবার সেই স্ত্রীর সাথেই সঙ্গম করবে। আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

দুনিয়া ধ্বংস প্রাপ্ত হবে না যে পযর্ন্ত না আমার খান্দানের এক ব্যক্তি সমগ্র আরব ভূ-খন্ডের অধিপতি না হবে। তাঁর নাম হবে আমার নামে। আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

তোমরা কবরের নিকট আসা-যাওয়া করিও । এদ্বারা হিংসা রোগ দূর হয়ে যায় এবং বিরাট উপদেশ লাভ হয় । আল হাদীস

তোমরা দুটি অভিশাপযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকবে, যথা- লোকের চলাচলের রাস্থায় এবং গাছের ছায়ায় বিশ্রাম গ্রহণের স্থানে মল-মুত্র ত্যাগ করা। আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)

প্রকৃত সম্পদশালীতা ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে উপর নির্ভরশীল নয় বরং প্রকৃত ধনাঢ্যতা হলো অন-রের বড়ত্ব। আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
তুমি মোমিন ব্যতিত কারো সঙ্গ লাভ করো না এবং তোমাদের নিমন্ত্রণের খাবার যেন ধার্মিক লোক ভিন্ন কেহ আহার না করে। আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

আল্লাহর নিকট বৈধ কাজসমূহের মধ্যে তালাক হইল সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য। আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

নবী করীম (দঃ)-এর নেতৃত্বাধীন কোন যুদ্ধে এক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল। এতে নবী করীম (দঃ) খুবই মর্মাহত হলেন এবং নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করে দিলেন । আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সময় যদি তার কপাল ঘর্ম সিক্ত হয় , চক্ষু থেকে অশ্রু বের হয় এবং নাকের ছিদ্র প্রসারিত হয় , তবে তা রহমতের লক্ষণ। পক্ষান্তরে গলা থেকে যদি উটের গলা টিপার ন্যায় আওয়াজ আসতে থাকে এবং চেহারা মলিন হয়ে মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে , তবে তা আজাবের লক্ষণ। আল হাদীস

যে ব্যক্তি ঋতুস্রাব অবস্থায় স্ত্রীসহবাস করল , স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করল কিংবা কোন জ্যোতিষীর কাছে গেল , সে মোহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্মকে অস্বীকার করল । আল হাদীস (তিরমিযী)

কেয়ামতের দিন তোমাদের কেউ যেন এই অবস্থায় আমার নিকট না আসে যে তার ছাগল তার ঘাড়ের ওপর চাপানো থাকবে আর তা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতে থাকবে এবং সে আমাকে (সাহায্যের জন্য) ডাকতে থাকবে। আমি বলবো , তোমার জন্য আজ আমি কিছুই করতে পারবো না । আমি তো আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ তোমাকে পৌছে দিয়েছিলাম । আল হাদীস

আমি সুদীর্ঘ দশ বৎসর রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর সেবা করেছি। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি একদিনও আমাকে বলেননি যে একাজটি কেন করলে বা ঐকাজটি কেন করলে না । (আল হাদীস)

আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বেই আল্লাহ সকল সৃষ্টজীবের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন । তখন আল্লাহর সিংহাসন ছিল পানির উপর। আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে , রমজানের রোজা রাখে , নিজের সতীত্ব রক্ষা করে চলে এবং স্বামী আদেশ মেনে চলে , তবে সে যে দরজা দিয়ে ইচছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)

সবটুকু একত্রে পড়ুন "মহানবীর (দঃ) নিবার্চিত বাণী-3"