মহানবীর (দঃ) নিবার্চিত বাণী-1


নিশ্চয়ই জানিবে , আল্লাহর নিকট কৃতকর্মের ফল তাহার নিয়ত অনুসারে হয়ে থাকে । আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
হযরত হারেস ইবনে হিশাম (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ! আপনার নিকট প্রত্যাদেশ কিভাবে আসে ?” তিনি বললেন- কোন সময় এমন হয় যে, আমি একটি টুনটুন শব্দ শুনতে পাই । এই ধরনের ওহী আমার জন্য বড়ই পীড়াদায়ক হয়ে থাকে । আবার কখনো কখনো ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে আমার নিকট আসেন এবং আল্লাহর বাণী আমাকে বলে দেন । আমি তাহা মুখস্থ করে লইপ্রচণ্ড শীতের সময়ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে ওহী অবতরণ কালে ঘামে সিক্ত হতে দেখেছি। আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) ‍ঃ)
আরবদের অধঃপতনে ইসলামের অধঃপতন হবে। কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে আরবদের ধ্বংস নেমে আসবে। আর ধ্বংসের কারণ হবে নির্লজ্জতা। আল হাদীস আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ)
আনসারদের প্রতি ভালবাসা পোষণ করা ঈমানের নিদর্শন আর তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করা কপটতার আলামত। আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ “আমার উম্মতের উপর এমন একটা দুঃসময় আসবে যখন দুনিয়ার সমস্ত বৈরী শক্তিগুলি পরস্পর যোগ-সাজশ করে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, যেমন করে দাওয়াতের মজলিসে খাবার সাজিয়ে একে অন্যকে ডেকে ডেকে খাওয়ার পালা শুরু করে একজন সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন ,“ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ! তখন কি আমরা সংখ্যায় খুবই নগণ্য হবো ?” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , “না , বরং সংখ্যায় তোমরা থাকবে বিপুল । কিন্তু প্রাণের মায়া এবং দুনিয়ার আরাম-আয়েশের নেশা তোমাদিগকে একেবারে বোধশক্তিহীন জড় পদার্থে পরিণত করে ফেলবে (আল হাদীস)
আমার উম্মতের মধ্যে যে বিষয়গুলির ভয় আমি বেশী করি তা হলো ঃ ভুঁড়ি হয়ে যাওয়া, বেশী বেশী ঘুমানো, অলসতা এবং বিশ্বাসের দুবর্লতা। আল হাদীস (দারাকুতনী)
এমন কোন নবী নেই যিনি ছাগলের রাখাল ছিলেন না । আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
তোমরা আমার সাহাবীদের সমালোচনা করিও না । তোমাদের কেহ ওহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় দান করিলেও আমার সাহাবীদের এক মুঠো দান করার সমান হইতে পারিবে না । আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
একদিন তোমাদের মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাতারূপে মরিয়ম পুত্র ঈসা (আঃ) আগমণ করিবেন । তিনি ক্রুশ ধবংসের অভিযান চালাইবেন এবং শুকর নিধন অভিযান পরিচালনা করিবেন এবং যুদ্ধ-হানাহানির অবসান ঘটাবেন । সেই সময় ধন-দৌলতের আধিক্য হবে। এমনকি দান গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি পাওয়া যাবে না । তখন একটি মাত্র সেজদা সমগ্র পৃথিবী ও তার সমস্ত সম্পদ হইতে উত্তম গণ্য হবে। আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ (
মহাপ্রলয়ের লক্ষণ হইল ) সময় সংকীর্ন হয়ে যাবে, কাজ অল্প হয়ে যাবে, কৃপণতা শুরু হবে, বিপদাপদ বৃদ্ধি পাবে এবং হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাবে। আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
যার মধ্যে এই তিনটি গুণ আছে সে ঈমানের স্বাদ লাভ করে। যথা- (১) অন্য সবকিছুর চাইতে আল্লাহ্ ও রাসুল (দঃ) এর প্রতি সবচেয়ে বেশী ভালবাসা পোষণ করা, (২) কাহাকেও ভালবাসিলে তা একমাত্র আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে হওয়া এবং (৩) বিশ্বাসী জীবনে ফিরে যাওয়াকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ন্যায় ভয় করা । আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) ‍ঃ)
শেষ জমানায় ভয়াবহ ফেতনা শুরু হবে। সে সব ফেতনায় মুনাফেক-কাফেরদের থেকে ঈমানদারগণ আলাদা হয়ে যাবেন । তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই সীমিত হয়ে পড়বে। তবে তাদের ঈমান আগের তুলনায় অনেক বেশী মজবুত হবে। সুতরাং তোমরা শাম (ইরাক) অঞ্চলের লোকদের মন্দ বলো না । কেননা, তাদের ভেতর আল্লাহর অলিগণও রয়েছেন । এমন একটা সময় আসবে যখন শামবাসীগণ খুবই দুর্বল হয়ে পড়বে। একটার পর একটা নানান বিপদ তাদেরকে এমনই দুর্বল করে দিবে যে, শৃগালে হামলা করেও তাদেরকে পরাস্ত করে দিতে সক্ষম হবে। তাদের এই চরম দুর্দশার সময়ে একজন আদর্শ নেতার আবির্ভাব ঘটবে। তিনি নবী করীম (দঃ)-এর বংশধরদের মধ্য থেকে হবেন । অন্ততঃপক্ষে তিনটি বাহিনী বিপুল সামরিক শক্তি নিয়ে তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মুসলমানদের এই নেতাকে নিশ্চিহ্ন করতে অগ্রসর হবে। কিন্তু ইমাম মাহদীর ক্ষুদ্র বাহিনীর হাতে তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে। যোগ্য নেতার নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ তখনকার মুসলমানদের মধ্যকার পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতা অনুকরণীয় । তাদের মধ্যে এমন সমৃদ্ধির সৃষ্টি হবে যা ইতিপূর্বে আর কোথাও দেখা যায়নি। আল হাদিস
(
মজমাউয যাওয়ায়েদ)
সবচেয়ে কম শাস্তিপ্রাপ্ত জাহান্নামীকে কেবল দুটি আগুনের জুতো পড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে তার মাথার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে এবং পেটের নাড়ী-ভুড়ি গলে পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে আর সে মনে করবে তাকেই হয়ত সবচেয়ে বেশী শাস্তি দেওয়া হচেছ । আল হাদিস
তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এজন্য ধ্বংস হয়েছে যে, তাদের মধ্যকার ক্ষমতাবান ও অভিজাত লোকেরা চুরি করলে তাদের ছেড়ে দিত আর দুর্বল ও সাধারণ লোকেরা চুরি করলে তাদের শাস্তি দিত। আল্লাহর কসম, আমার মেয়ে ফাতেমাও যদি চুরির অপরাধে ধরা পড়ত, তবে আমি তার হাত কেটে দিতাম । (আল হাদীস)
জান্নাতবাসীগণ যখন যা আকাংখা করবে তখনই তা লাভ করবে। কেহ জান্নাতে ভ্রমণের নিমিত্তে ঘোড়ার প্রত্যাশা করলে তাকে দ্রুতগামী ঘোড়া দেওয়া হবে। এভাবে কেহ চাষাবাদের ইচছা প্রকাশ করলে তাকে হাতিয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ভূমি কর্ষণের সাথে সাথেই বীজ বপন করা হবে এবং চারাগাছ সমূহ উঠতে থাকবে। সঙ্গে সঙ্গেই ফসল কাটা হবে এবং তা পাহাড়ের মতো স্তুপ হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহ পাক বলবেন, “হে আমার বান্দা ! তোমার যতটুকু ইচছা ততটুকু গ্রহন কর। তবে জেনে রেখো, কোনো জিনিসেই তোমাদের তৃপ্তি মিটবে না । আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
জ্ঞানী ব্যক্তির চেহারা দেখাও ইবাদত স্বরূপ। আল হাদীস (দাইলামী)
ট্যাক্স আদায় কারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না । (আবু দাউদ শরীফ)
যে ব্যক্তি সারা বৎসর রোজা রাখে, জাহান্নামে তার জন্য কোন স্থান হবে না । (আল হাদিস)
সর্বাপেক্ষা সহজ মৃত্যু যন্ত্রণার দৃষ্টান্ত এরূপ মনে করতে পার, যেমন একটি ত্রিধার ট্যাটা কারো পায়ে এমন ভাবে বিঁধে গেল এবং এমনভাবে ভিতরে ঢুকেছে যে, অনেক টানাটানি এবং চেষ্টা করেও তাহা খোলা সম্ভব হইতেছে না । (আল হাদিস)
হযরত হারেসা (রাঃ) একদিন রাসুলে মাকবুল (দঃ) কে বললেন ঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমি সত্যিকারের মুমিন হইতে পারিয়াছি । নবী করিম (দঃ) তাকে বললেন ঃ ইহার প্রমাণ কি ? হারেসা (রাঃ) উত্তরে বললেন ঃ আমার অন্তর দুনিয়ার মোহজাল ছিন্ন করে এমনভাবে পলায়ন করেছে যে, আমার দৃষ্টিতে এখন স্বর্ণ এবং পাথরের মধ্যে কোনই পার্থক্য নাই । উভয় বস্তুই আমার নিকট সমান তুচছ বলে মনে হয় । বেহেশত এবং দোযখকে আমি যেন নিজের চোখে দেখতে পাচিছ । রাসুলাল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ ঈমানের যে অবস্থা তোমার অর্জন করা প্রয়োজন ছিল তা তুমি যথার্থই লাভ করেছ । এখন ইহাকে সযত্নে রক্ষা কর । (আল হাদিস)
☼ (
মহামহিম আল্লাহ তাআলা বলেন) আমার গৌরবের কসম, আমি কখনও মানুষের মধ্যে দুই ভয় ও দুই অভয় একত্রিত করি না । যে বান্দা ইহকালে আমার ভয়ে ভীত থাকিবে পরকালে তাকে আমি নির্ভয় রাখিব। আর যে ব্যক্তি ইহলোকে আমার ব্যাপারে নির্ভয় থাকিবে পরলোকে তাকে আমি ভীত-সন্ত্রস্ত রাখিব। (আল হাদিস)
☼ (
হে আয়শা !) কেয়ামতের দিন তুমি যদি আমার সঙ্গে থাকিতে বাসনা রাখ, তবে দরিদ্রের ন্যায় জীবন যাপন করিতে থাক। ধনী লোকের সঙ্গে চলাফেরা হইতে দূরে সরে থাক। তালি লাগাইয়া পরিধান করা ব্যতিত কোন পুরনো কাপড় ফেলে দিও না । (আল হাদিস)
তিনটি জিনিস আমার প্রিয় নামাজ, সুগন্ধি আর পুণ্যবান স্ত্রী। (আল হাদীস)
যে ব্যক্তি অন্যকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য জ্ঞানের মাত্র একটি অধ্যায়ও নিজে শিক্ষালাভ করবে, নিশ্চয় তাকে সত্তরজন নবী ও সিদ্দিকীনের সমান সওয়াব দেওয়া হবে। আল হাদীস (দাইলামী)
রাসুলুল্লাহ (দঃ) কোন সাহায্য প্রার্থীর জবাবে কখনও নাবলেন নি। (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
মানুষ স্বর্ণ ও রৌপ্যের খনি তুল্য। যে সব লোক অন্ধকার যুগে শ্রেষ্ট ছিল, ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী হলে ইসলামের যুগেও শ্রেষ্ট। (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
আবু হোরায়রা, তুমি যোগ্য পাত্রে করুণা করবে, অন্যথায় তুমি নিজেই করুণার পাত্রে পরিণত হবে। (আল হাদিস)
তুমি জ্ঞান অর্জন করো ; কেননা জ্ঞান অর্জন করা আল্লাহ ভীতি এবং জ্ঞান অনুসন্ধান করা ইবাদতস্বরূপ। জ্ঞান শিক্ষাদান তাসবিহ এবং তার আলোচনা হলো জিহাদ। জ্ঞানহীন ব্যক্তিকে জ্ঞানদান করা দান-খয়রাতস্বরূপ। যোগ্য পাত্রে তাব্যয় করা হলো হৃদ্যতা বা বন্ধুত্বস্বরূপ। জ্ঞান নিঃসঙ্গতায় সঙ্গি, সফরে সহযাত্রী, নির্জন্তায় বাক্যালাপকারী, ধর্মের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক, অভাবে স্বচছলতার প্রদীপ, বন্ধু-সমাজে নেতৃত্ব, অপরিচিত জনের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারী, শত্রুর মোকাবেলায় ধারালো হাতিয়ার এবং বেহেশতের পথে আলোক স্তম্ভ। -(আল হাদিস)
একবার হযরত রাসুলে করীম (দঃ) হযরত জিব্রাঈল (আঃ)-কে জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “হে প্রিয় বন্ধু ! জাহান্নামের প্রথম দরজার নাম হাবিয়াএবং এতে মুনাফিক, ফেরাউনের গোষ্টি, আসহাবে মায়েদার কাফেরগণ থাকবে। দ্বিতীয় দরজা লাজ্জাতে ইবলিশ, শয়তান, তার দলবল ও অগ্নিপূজকরা অবস্থান করবে। তৃতীয় দরজা হোতামাতে ইহুদীগণ থাকবে। চতুর্থ দরজা ছায়ীরেখ্রীস্টানগণ থাকবে। পঞ্চম দরজা সাকারেনক্ষত্র পূজারীরা থাকবে। ষষ্ট দরজা জাহিমেকাফের-পৌত্তলিকরা থাকবে। সপ্তম দরজা জাহান্নামবলে জিব্রাঈল (আঃ) চুপ হয়ে গেলে মহানবী (দঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, “হে বন্ধু , আপনি চুপ করলেন কেন ? শীঘ্রই তার অধিবাসীদের কথা আমাকে বলুন !’’ হযরত জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, “হে বন্ধু ! উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে যারা কবিরা গোনাহ করে তওবা ব্যতিত মৃত্যুবরণ করবে, তারা এতে অবস্থান করবে।’’ এতদ্ শ্রবণে হযরত রাসুলে করীম (দঃ) বেহুশ হয়ে পড়লে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) তাঁর মস্তক কোলে তুলে নিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (দঃ) চেতনা লাভ করে বললেন, “হে জিব্রাঈল, আমার উম্মতের জাহান্নামে নিক্ষেপ এবং দুর্দশার কথা আমাকে মর্মাহত এবং ব্যথিত করেছে। আমার দুশ্চিন্তা ও ভয় কিছুতেই হ্রাস পাচেছ না ।’’ হযরত জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, “হ্যাঁ, আপনার পাপী উম্মতদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’ এতদ্‌শ্রবণে নুরনবী (দঃ) অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলেন । হযরত জিব্রাঈল (আঃ)ও নিজেকে সম্বরণ করতে না পেরে কাঁদতে লাগলেন । হযরত রাসুলে করীম (দঃ) বললেন, ‘‘হে বন্ধু, আপনি কাঁদতেছেন ? আপনি রহুল আমিন, আল্লাহর অনুগত।’’ তিনি বললেন, “যদি হারুত-মারুত ফেরেশতাদ্বয়ের ন্যায় আমাকেও পরীক্ষা করা হয়, সেই ভয়ে ক্রন্দন করতেছি।’’ তখন আল্লাহ পাক বললেন, “হে মোহাম্মদ (দঃ) এবং জিব্রাঈল (আঃ) ! আমি আপনাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়েছি। সুতরাং আমার কৃতজ্ঞতার নিমিত্তে কাঁদতে থাকুন ।’’ -(আল হাদিস)
যে ব্যক্তি মানুষের কাছ থেকে কোন উপকারী বিষয়কে লুকিয়ে রাখে, কেয়ামতের দিন তার মুখে আগুনের লাগাম পরিয়ে দেয়া হবে। (আল হাদীস)
☼ (
নষ্ট) আলেমকে এমন ভয়ঙ্কর শাস্তি দেওয়া হবে যে, জাহান্নামীরা তার শাস্তি দেখে (বিস্মিত হয়ে) চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকবে। (আল হাদিস)
একদিন রাসুলে করিম (দঃ) মাথা ব্যথায় ভুগতেছেন উল্লেখ করলে উপস্থিত জনৈক বেদুঈন বলেছিলইয়া রাসুলুল্লাহ ! মাথা ব্যথা তো দূরের কথা, জীবনে আমার কোন রোগই হয় নাই । এতদ্ব শ্রবণে রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ তুমি আমার সামনে থেকে দূর হও । তোমরা কেহ যদি জাহান্নামী লোক দেখতে চাও, তবে এই বেদুঈন লোকটিকে দেখে নাও । (আল হাদিস)
আল্লাহ তাআলা যখন কোন মানুষকে খুব ভালবাসেন, তখন তার ওপরে নানাবিধ বিপদ-আপদ চাপিয়ে দেন । আর যাদেরকে চরম মাত্রায় ভালবাসেন তাদেরকে একতেনাকরে দেন । সাহাবায়ে কেরাম একতেনাশব্দের অর্থ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন ঃ কাহারো ধন-সম্পদ সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করে দেওয়া এবং পরিবার-পরিজনকে সমূলে খতম করে দেওয়াকে একতেনাবলা হয় । (আল হাদিস)
যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই কাউকে ভালবাসে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই কাউকে শত্রু জ্ঞান করে , আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই কাউকে দান করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই কাউকে বঞ্চিত করে, সে নিজের ঈমানকে পূর্ণতা দিয়েছে। আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
যদি তুমি সবর্দা আল্লাহকে স্মরণ কর, তবে তিনি তোমাকে সকল অবস্থায় রক্ষা করবেন । আল্লাহকে স্মরণ করলে তাঁকে তোমার সম্মুখেই পাবে । কিছু চাইতে হলে তাঁর কাছেই চাইবে । জেনে রেখো , সমগ্র মানবজাতি মিলেও যদি তোমার কোন উপকার করতে চায় তথাপি তোমার ভাগ্যে আল্লাহ যা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, তার বাইরে কোন উপকার করতে কখনও সক্ষম হবে না । আবার সমগ্র মানবজাতি মিলেও যদি তোমার কোন ক্ষতি করতে চায়, তবুও আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তার বাইরে কোন ক্ষতি করতে পারবে না । কারণ ভাগ্যের কলম তুলে নেওয়া হয়েছে এবং কাগজ শুকিয়ে গেছে । আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ ‍ঃ)
তোমার যদি লজ্জাই না থাকে, তবে তুমি যা ইচছা তাই করতে পারো । আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
আমরা যাদের কাজ দেই, তাদের খাওয়া-পরার জন্য অর্থও দিয়ে থাকি। ইহার বাইরে তারা যাকিছু গ্রহন করবে, তা হবে স্রেফ চুরি। -আল হাদীস
পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না । (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ )
Leave a Comment