☼ তোমরা জীবনের সকল স্বাদ বিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করো। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ আল্লাহর নিকট শহীদদের ছয়টি পুরস্কার রয়েছে ঃ-(১) রক্তের প্রথম ফোটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতে তাকে তার ঠিকানা দেখিয়ে দেওয়া হয় । (২) কবরের আজাব হতে মুক্তি দেওয়া হয় । (৩) ইস্রাফিলের সিঙ্গার ফুৎকারের সময়কার ভীতিকর অবস্থা হতে মুক্ত থাকবে। (৪) তার মাথায় মর্যাদার মুকুট পড়ানো হবে যার প্রতিটি ইয়াকুত দুনিয়া ও তার মধ্যকার যাবতীয় সমপদ হতে অধিকতর মূল্যবান । (৫) তাকে বাহাত্তর জন আয়তলোচনা হুর দেওয়া হবে। (৬) সত্তরজন আত্মীয়ের জন্যে তার সুপারিশ গ্রহন করা হবে। – আল হাদীস
☼ যদি কোনো ব্যক্তি এই উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করে যে তা দিয়ে জ্ঞানীদের সাথে মতবিরোধ করবে কিংবা বোকাদের সাথে বিতর্ক করবে কিংবা মানুষকে নিজের দিকে আকর্ষণ করবে , আল্লাহ তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন । (মিনহাজুল আবেদীন)
☼ যখন তোমার প্রতিবেশীকে বলতে শুনবে যে তুমি খারাপ কাজ করেছ , তখন প্রকৃতই তুমি খারাপ কাজ করেছ । আর যখন তুমি বলতে শুনবে যে তুমি ভাল কাজ করেছ, তখন তুমি প্রকৃতই ভাল কাজ করেছ । – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ঃ)
☼ আমি আদম সন্তানের সরদার , আমিই নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ নবী। (আল হাদীস)
☼ আমার অনুসারীগণ যখন ১৫টি কাজে লিপ্ত হবে , তখন তাদের উপর বিপদ-আপদ , রোগ-শোক আসতে থাকবে । ১। যুদ্ধলব্ধ সমদেকে যখন ব্যক্তিগত সম্পদ গন্য করা হবে। ২। আমানতকে যখন আত্মসাত করা হবে । ৩। যাকাত দেওয়াকে অপচয় মনে করা হবে। ৪। লোকেরা যখন স্ত্রীদের অনুগত এবং মায়ের অবাধ্য হবে। ৫। যখন বন্ধু-বান্ধবদের সহিত সদ্ব্যবহার করা হবে । ৬। পক্ষান-রে পিতার সাথে দুর্ব্যবহার করা হবে। ৭ । মসজিদে যখন চেচামেচি করা হবে। ৮। সমাজের নিকৃষ্ট লোকেরা যখন নেতত্বে করবে। ৯। যখন লোকেরা অত্যাচারের ভয়ে কাউকে সম্মান করবে। ১০। যখন প্রকাশ্যে মদ্যপান করা হবে। ১১। পুরুষেরা যখন রেশমী বস্ত্র পরিধান করবে। ১২। যখন গায়িকা-নর্তকীর ব্যবস্থা করা হবে । ১৩। যখন বাদ্যযন্ত্র সহজ লভ্য হবে । ১৪। যখন সাহাবীদের ও তাবেয়ীদের সমালোচনা করা হবে , তখন তোমরা আল্ল াহর শাস্তির অপেক্ষা করো । যেমন- ঘূর্ণিঝড় , ভূমিধ্বস , চেহারা বিকৃতি প্রভৃতি । – আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ সেই আল্লাহর কসম যার হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ- যে গনিমতের মাল থেকে একটি কম্বল তুলে নিয়েছে অথচ সেটা তাকে সরকারীভাবে বিতরণ করা হয়নি-তবে ঐ কম্বল তার দেহে আগুন হয়ে জ্বলবে। -আবু দাউদ
☼ তোমরা মুমূর্ষূ ব্যক্তির সন্নিকটে থাক এবং তাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ে শোনাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শোনাও । কেননা সেই সময় বিচক্ষণ নর-নারীরাও ভয় পেয়ে যায় আর শয়তান খুব সক্রিয় থাকে । সেই সত্ত্বার কসম, আজরাইলকে দেখা হাজার তরবারির আঘাত অপেক্ষাও বেশী কষ্টদায়ক । – আল হাদীস
☼ আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহতা’য়ালা প্রতিটি সৃষ্টির ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেছেন । তখন তাঁর আরশ ছিল পানির উপর । (মেশকাত)
☼ যে ব্যক্তি মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে এবং সৎকর্মের দ্বারা আখেরাতের পুঁজি তৈরী করে , সেই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী। – আল হাদীস
☼ আল্লাহ্ তা’য়ালা সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হলো আমার নুর । আমাকে অতীত ও ভবিষ্যতের সমস্ত জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে। (আল হাদীস)
☼ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ (কর্তব্য) । {বায়হাকী শরীফ ঃ}
☼ নিশ্চিতভাবেই ধর্মীয় জ্ঞান হচেছ ধর্মের ভিত্তিস্বরূপ। অতএব লক্ষ্য রেখো যে, কাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করছ । (মুসলিম , তিরমিযী)
☼ চোখের মাধ্যমেও ব্যভিচার হয় , পায়ের দ্বারাও ব্যভিচার হয় এবং লজ্জাস্থান দ্বারা ব্যভিচার পূর্ণতা লাভ করে। — আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমন যে , আমি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যে পযর্ন্ত না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নেই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর রাসুল এবং নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে। – আল হাদীস
☼ কর্ম যাকে পিছিয়ে দেয় বংশ তাকে এগিয়ে দিতে পারে না । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে সাত বছর বয়সেই নামাযের আদেশ কর, দশ বছর বয়সে নামাযের জন্য শাস্তি বিধান কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ প্রবীণ মুসলমান , সৎপন্থী জ্ঞানী ব্যক্তি এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন স্বয়ং আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন-র্ভুক্ত । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ)
☼ আগুন দ্বারা শাস্তি প্রদান করার অধিকার কেবল মাত্র আল্লাহর জন্যই নির্ধারিত । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ আপনজনদের সাথে উত্তম আচরণের পুরস্কার আল্লাহপাক যত দ্রুত দিয়ে থাকেন , অন্যকোন কর্মের পুরস্কার এত দ্রুত দেন না । পক্ষান্তরে আপনজনদের সাথে সমপর্কচেছদের শাস্তিও আল্লাহপাক যত দ্রুত দিয়ে থাকেন আর কোন পাপের শাস্তি এত দ্রুত দেন না । (আল হাদীস)
☼ তোমরা অপরিচিত নারীদের নিকট যাতায়াত করা থেকে বিরত থাক। জিজ্ঞাসা করা হলো – দেবর সম্পর্কে কি বিধান ? তিনি বললেন, দেবর হচেছ (নারীদেব জন্য ) মৃত্যুর সমতুল্য । (বোখরী)
☼ যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা প্রচার করবে যা আমি বলি নাই, তবে সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয় । (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ))
☼ আমার এই মসজিদে এক রাকাত নামায মসজিদুল হারাম ব্যতিত অন্যান্য মসজিদে এক হাজার রাকাত নামায অপেক্ষা উত্তম । -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ঃ))
☼ সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ঃ)
☼ যে ব্যক্তি রমযান মাসের সাতাইশ তারিখের রজনীকে জীবিত রাখবে, তার আমলনামায় মহান আল্লাহ সাতাইশ হাজার বৎসর ইবাদতের সমতুল্য সওয়াব দান করবেন এবং জান্নাতে অগণিত মনোরম বালাখানা তৈরী করবেন যার সংখ্যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না । -(আল হাদিস)
☼ হে আলী ! তিনটি বিষয়ে কখনো বিলম্ব করবে না ঃ-(১) নামাযের যখন সময় হয়ে যাবে, (২) জানাযা যখন উপস্থিত হয়ে যাবে, (৩) কুমারী মেয়ের জন্য যখন সুপাত্র পাওয়া যাবে। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ কোনো ব্যক্তি রমযান মাসে যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তবে তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং সে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করবে। – আল হাদীস
☼ আমি নামায আদায় করি আবার ঘুমিয়েও থাকি, রোজা রাখি আবার ছেড়েও দিই এবং বিয়েও করি। যে ব্যক্তি আমার আদর্শকে বর্জন করবে সে আমার অনুসারী নয় । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ সাবধান ! তোমরা মেয়েদের মোহরানার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না । (কারণ) আমার জানা নেই যে , রাসুলুল্লাহ (দঃ) তাঁর কোন পত্নীকে বিয়ে করার সময় কিংবা তাঁর কোন কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার সময় বার ‘‘উকিয়া’’(পাঁচশত দিরহাম)-এর অধিক মোহরানা ধার্য করেছেন । (তিরমিযী , মুসনাদে আহমদ)
নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক আমার পরেই তোমাদেরকে শামের উপর বিজয় দান করবেন । উহার সীমানা হলো আরশী হতে ফোরাত পযর্ন্ত। সেখানকার নারী , পুরুষ এবং তাদের বংশধরগণ কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদে রত থাকবে। সুতরাং তোমাদের যে কেহ শামের অথবা বায়তুল মোকাদ্দাসের কোন অঞ্চলে বসবাস করবে, সে কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদে লিপ্ত থাকবে। – আল হাদীস
☼ তোমরা ইহুদীদের বিপরীত কাজ করতে সেহ্রী খাও । যেহেতু ইহুদীরা রোজা রাখে কিন্তু সেহ্রী খায় না । সুতরাং যে সেহ্রী খেয়ে রোজা রাখবে সে ইহুদীদের সংখ্যা অনুপাতে সওয়াব লাভ করবে। – আল হাদীস
☼ মিতব্যয় জীবিকার অর্ধেক, উত্তম প্রশ্ন শিক্ষার অর্ধেক এবং লোকজনকে ভালবাসা জ্ঞানের অর্ধেক। – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ঃ)
☼ একদা রাসুলুল্লাহ (দঃ) এক যুবকের নিকট উপস্থিত হলেন । সেই সময় ঐ যুবক মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল। তিনি যুবককে জিজ্ঞেস করলেন–‘‘তোমার অবস্থা কি ?’’ সে বলল–‘‘আল্লাহর নিকট থেকে ক্ষমার আশা করছি আবার পাপের কারণে ভয়ও পাইতেছি।’’ রাসুলে করীম (দঃ) বললেন–‘‘মৃত্যুর সময় যার মধ্যে এ দুটি জিনিস পাওয়া যায় আল্লাহ তার আশা পূরণ করবেন এবং তাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রাখবেন ।’’ – আল হাদীস
This entry was posted on Thursday, July 7, 2011 at 5:14 AM and is filed under জীবন পদ্ধতি,মহানবীর (দঃ),হাদিস. You can follow any responses to this entry through the RSS 2.0 feed. You can leave a response.