সাকিল আলম : সৌদি আরবের রব-উল-খালিতে (উন্মুক্ত প্রান্তর) প্রাপ্ত ১০ মিটার (৩১.৮০ ফুট) লম্বা কঙ্কালটি পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আদ জাতির কোনো ব্যক্তির বলে মনে করছেন আলেমসমাজ।
২০০৪ সালে বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি আরামকো গ্যাস অনুসন্ধানের সময় কঙ্কালটিসহ ওই এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণগুলোর খোঁজ পায়। ওই আবিষ্কারের পরপরই সৌদি সামরিক বাহিনী স`ানটি ঘেরাও করে রাখে এবং অনুমতি ছাড়া কাউকে সেখানে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
অবশ্য সৌদি সামরিকবাহিনী বিমান থেকে নেয়া ওই এলাকার কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সৌদি আরবের আলেমরা জানিয়েছেন, ওই প্রান্তরে পাওয়া নমুনাগুলো আদ জাতির ধ্বংসাবশেষ।
পবিত্র কুরআন এবং অন্যান্য সূত্রে বলা হয়েছে, আদ জাতির লোকেরা ছিল খুবই লম্বা, বিশাল ও অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। তারা এত শক্তিধর ছিল যে এক হাতেই বড় বড় বৃক্ষ উপড়ে ফেলতে পারত। বিশাল ওই কঙ্কালই পবিত্র কুরআনের দেয়া তথ্যের প্রমাণ দিচ্ছে। আধুনিক ইতিহাসে যেখানে দীর্ঘতম মানুষটির দৈর্ঘ পাওয়া যাচ্ছে ৯ ফুট (২.৭৪ মিটার)। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রবার্ট ওয়াডলো (১৯১৮-১৯৪০)। সেখানে প্রায় ৩২ ফুট লম্বা মানুষের কঙ্কাল পাওয়া নিশ্চিতভাবেই পবিত্র কুরআনের সত্যতার প্রমাণবাহী। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, তিনি (আল্লাহ) এত বিশাল আকৃতির মানুষ আর কখনও পাঠাননি।
পবিত্র কুরআনের সূরা আ’রাফে বলা হয়েছে : ‘তোমরা স্মরণ করো, যখন তোমাদের আদ জাতির পরে সর্দার করেছেন; তোমাদের পৃথিবীতে ঠিকানা দিয়েছেন। তোমরা নরম মাটিতে অট্টালিকা নির্মাণ করো এবং পর্বত খনন করে প্রকোষ্ঠ নির্মাণ করো। তাই, আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করো এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি কোরো না।’
আর সূরা শু’আরায় তাদের আদ জাতির কারিগরি উন্নতি ও সমৃদ্ধির বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘তাদের কাছে প্রেরিত নবী হুদকে স্বীকার না করায় তাদের ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে : নবীকে তারা মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং আমি তাদের নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে; কিন` তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
This entry was posted on Thursday, October 27, 2011 at 1:08 AM and is filed under অলৌকিক,ইতিহাস,রহস্যময়. You can follow any responses to this entry through the RSS 2.0 feed. You can leave a response.